ঢাকায় সুনিধিসন্ধ্যা
গত দশ বছরে বলিউডি ছবিতে যতগুলো চটুল ও মসলা গানে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে, তার সিংহভাগ গানের শিল্পীই সুনিধি চৌহান। আর এই শিল্পী যে মঞ্চেই গাইতে উঠবেন, সেখানে তিনি যদি ২৫/৩০টি গান এক নাগাড়ে পরিবেশন করেন, তবুও তাঁর হিট তালিকা শেষ হবে না। তাই ঘটে গেল গতকাল শুক্রবার রাতে বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে। দর্শক শ্রোতার তৃষ্ণা আংশিক মিটিয়ে যখন তিনি মঞ্চ ছাড়লেন, তখন রাত পৌনে ১২ টা।
শীতের আগমনী বার্তা বরণের এ কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হয়। ‘উইন্টার ব্লাস্ট ২০১৫ ঢাকা’ শীর্ষক সংগীতানুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইনসেপশন মিডিয়া ও ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্ট।
কনসার্ট উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার দুপুরেই সুনিধি ও রাকেশ মাইনির ১৯ জনের দল ঢাকায় পৌঁছায়। তবে সুনিধি ঢাকায় আসেন গতকাল। হোটেলে কিছুক্ষণ অবস্থান করেই তিনি সোজা চলে আসেন অনুষ্ঠানস্থলে। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত সুরে সুরে মাতিয়ে রাখেন দর্শক-শ্রোতাদের।
সুনিধি চৌহান বাংলাদেশে এসে অভিভূত। গানের শুরুতেই তিনি প্রকাশ করেন তাঁর মুগ্ধতা। দর্শক-শ্রোতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ সংগীতের চমৎকার সমঝদার। যতবার গেয়েছি ততবারই আপ্লুত হয়েছি।’
এরপর গাইলেন ‘ইয়ে হালকাত জাওয়ানি’। সুনিধির গানের সঙ্গে গাইছেন আগত সকলেই। যেন উপস্থিত সকলেই একেকজন সুনিধি চৌহান। কেউ কেউ তো উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে না পেরে বাজিয়ে দিলেন শিস। এরপর সুরেলা কণ্ঠের সঙ্গে মঞ্চজুড়ে চলল সুনিধির নাচ। প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর এই শিল্পী যেমন গাইলেন তেমনই নাচলেন। আর নাচালেন দর্শক-শ্রোতাদের। দর্শক শ্রোতাদের সুনিধি তাঁর কণ্ঠ মাধুর্যে মোহাবিষ্ট করে একে একে গাইলেন ‘ড্যান্স মে চান্স মারলে’, ‘মেরা ইশক সুফিয়ানা’, ‘সাজনা বে সাজনা’, ‘ম্যায় তো অ্যামি অ্যামি লুট গ্যায়া’, ‘দেশি গার্ল’সহ একগুচ্ছ জনপ্রিয় হিন্দি ছবির গান।নবরাত্রি হলের কনসার্টে সুনিধি চৌহান
কিছুক্ষণ বিরতিতে আবার গাইলেন রাকেশ মাইনি। এরপর আবারও সুনিধির ঝলক। দ্বিতীয় পর্বে গাইলেন সফট মেলোডি গান ‘দিল মেরা শুনো না’। এরপর আবারও সফট গান ‘জারা জারা কাহি পুছে’। এবার গজল। গাইলেন ‘কাভি কাভি মেরি দিল মে খ্যায়াল আতা হে’ গানটি। বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের নবরাত্রি মিলনায়তনজুড়ে যেন নেমে আসে স্বর্গীয় আবহ। স্পষ্ট বাংলাই বললেন, ‘ঢাকা আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ এবার গাইলেন ‘কিতনা সোনা তুঝে রাবনে বানায়া’ গানটি। তারপর চমক, চমকটা এল সুনিধির কণ্ঠে। আবেগী কণ্ঠে গাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান ‘ওগো দুঃখজাগানিয়া তোমায় গান শোনাব’। বাংলা গান শেষে আবারও হিন্দির জগতে, গাইলেন তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। শেষদিকে নেচে নেচে গেয়ে শোনালেন ‘শিলা কি জাওয়ানি’ গানটি। এর মধ্য দিয়েই শেষ হলো সুরের উৎসব।
অনুষ্ঠানের শুরুটা হয় বাংলাদেশি শিল্পী হাবিব ওয়াহিদের গান দিয়ে। ঘড়ির কাঁটা তখন সাতটা ৪০ মিনিট। ভরাট কণ্ঠে ধরেন তাঁর জনপ্রিয় গান ‘বলে তো দিয়েছি হৃদয়ের কথা’ গানটি। এরপর একে একে গেয়ে শোনান তাঁর গান অন্য গানগুলো। নিজের গানের বাইরে হাবিব শাহ আব্দুল করিমের বিখ্যাত সেই গান ‘কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে ফুলে বাইলা ভ্রমরা’ পরিবেশন করেন। হাছন রাজার গান ‘বাউলা কে বানইলো রে হাছন রাজারে বাউলা কে বানাইলো রে’ দিয়ে শেষ হয় হাবিবের পরিবেশনা। এদিকে আজ শনিবার সকালে মুম্বাইয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সুনিধি চৌহান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন