ঢাকা শহরে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১টি ভবন ভাঙতে হবে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চিহ্নিত ঢাকা শহরে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩২১টি ভবন আগামী ১ মাসের মধ্যে অপসারণ করে অবহিত করার জন্য রাজউক ও সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেছে জাতীয় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটি। পাশাপাশি এ ভবনগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করার জন্য রাজউককে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জাতীয় ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধি কমিটির এ সংক্রান্ত সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল, আামর্ড ফোর্সেস ডিভিশন, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, রাজউক, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গণপূর্ত, এলজিইডি ও তথ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গত ১৩ এপ্রিল সংগঠিত ভূমিকম্পে হেলে পড়া ভবনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিতে পেশ করার জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বলা হয়। অন্যান্য সিটি করপোরেশনের অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোও একই সময়ের মধ্যে অপসারণ করে কমিটিকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ সকল ভবনের গ্যাস ও বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, পানির লাইন বন্ধ করে দেয়ার জন্য ওয়াসা এবং হোল্ডিং নম্বর বাতিল করার জন্য সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বড় ধরনের ভূমিকম্পে আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের অ্যান্ট্রি পয়েন্টে সেন্সর লাগানো হচ্ছে। জনসচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে সারাদেশে ১০ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী সাময়িক আবাসনের জন্য ১০০ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার তাবু কেনা হয়েছে বলেও সভায় জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গত বছর শক্তিশালী ভূমিকম্পে নেপাল ব্যাপক প্রাণহানি হয়। এর পর বাংলাদেশেও কয়েক দফায় ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সম্প্রতি ভূমিকম্প নিয়ে দেশবাসী অনেকটাই শঙ্কিত। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশে ৭ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১২৫ কিলোমিটার গভীরতাসম্পন্ন ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মাওলাইকে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, একই সময়ে ভারত, পাকিস্তান ও নেপালেও এই ভূকম্পন অনুভূত হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন