শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ঢাবির ইংরেজিতে মাস্টার্স, চাকরির ‘হতাশায় আত্মহত্যা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন আবদুল মোমিন তালুকদার। লক্ষ্য ছিল প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হওয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু করতে না পারায় ‘আত্মহত্যা’ করেছেন তিনি।

আবদুল মোমিন তালুকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন ২০০৩-৪ শিক্ষাবর্ষে। থাকতেন স্যার এএফ রহমান হলের ৫২০ নম্বর কক্ষে। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জেরর সালঙ্গা থানার ধুপিল গ্রামে। বাবার নাম আবদুল মন্নাফ। বাবা-মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস্টার্সের পর মোমিন শুরু করেন বিসিএস প্রস্তুতি। কিন্তু কৃষক বাবার পাঁচ সদস্যের বড় পরিবার চালিয়ে মাস্টার্স শেষ করা ছেলের জন্য অর্থের যোগান দেওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বেসরকারি একটি কলেজে ইংরেজির প্রভাষক হিসেবে যোগ দিলেন। হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে যে বেতন ভাতা পেতেন তা নিতান্তই অপ্রতুল। অধিকাংশ সময় এ চাকরির পেছনে চলে যাওয়ায়, কাঙ্ক্ষিত চাকরির প্রস্তুতিও ঠিকমতো হচ্ছিল না।

এ অবস্থায়ও দুই বার বিসিএস প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হলেও ফেল করেন লিখিত পরীক্ষায়। এরই মধ্যে পেরিয়ে যায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। এর মধ্যেই পরিবারের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেন বছর দুই আগে। গেল বছর কোলজুড়ে আসে এক কন্যাসন্তান।

বন্ধুদের ভাষায়, ‘আত্মবিশ্বাসী এবং উচ্চাভিলাষী” এ ছেলেটি একসময় আত্মাভিমান নিয়েই ঢাকা ছাড়েন। যোগ দেন নিজ জেলা সিরাজগঞ্জের একটি মহিলা কলেজে। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতায় বেতন ভাতা আটকে গেল। একদিকে পিতা মাতা ও নির্ভরশীল ভাই বোন অন্যদিকে নববিবাহিত স্ত্রী এবং নবজাতক কন্যা। তাই কার্যকর একটা কিছু করতে না পারার হতাশায় ক্রমশই ডুবে যাচ্ছিলেন মোমিন।

সালঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রফিক বলেন, ‘মৃত্যুর খবর পেয়েই আমি ছুটে যাই। পরিবার ও গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, ঢাকা ভার্সিটির ইংরেজির মতো বিভাগে পড়েও চাকরি নিয়ে হতাশার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন।’

পরিবারের আপত্তির কারণে মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি বলে জানান ওসি।

বন্ধুর এমন অকাল মৃত্যুর সংবাদে হতবিহ্বল তার বন্ধু সহপাঠীরা। কথা বলার সময় বারবার গলা ধরে আসছিল মোমিনের সহপাঠি ও হলমেট আবু তাহেরের। রাজধানীর অগ্রণী স্কুলের শিক্ষক আবু তাহের বলেন, ‘আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না এমন হৃদয় বিদারক কিছু ঘটতে পারে!’

তবে চাকরি নিয়ে মোমিনের যে হতাশা ছিল তা জানতেন তাহেরও। তাহের জানান, ২০১২ সালের দিকে মোমিন রাজধানীর কুইন মেরি কলেজে যোগ দেন। ২৯তম বিসিএসসহ দুটি বিসিএসের প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হয়েও ফেল করেন লিখিত পরীক্ষায়। এরপর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হওয়ার পর ২০১৬ সালে যোগ দেন সিরাজগঞ্জের তারাশ মহিলা ডিগ্রি কলেজে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

এইচএসসির ফল প্রকাশ মঙ্গলবার, জানা যাবে যেভাবে

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করাবিস্তারিত পড়ুন

বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী
  • বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
  • নতুন শিক্ষাক্রমে বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন ৭ ধাপ হবে
  • একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
  • বুয়েট পাচ্ছে ১০০ কোটি টাকার ন্যানো ল্যাব  
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০ দিনের ছুটি শুরু কাল
  • একাদশে ভর্তির আবেদন পড়েছে ১২ লাখের বেশি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
  • দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার