শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

তবুও ভাইয়া একের পর এক অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক করছে…

প্রথমেই বলি সমস্যাটা আমার না। আমার ভাবির এবং ভাইয়ের। আমার ভাবি এবং ভাইয়ার ভেতর এমন কিছু সমস্যা চলছে যেটার কোন সমাধান আমি পাচ্ছি না। আমার ভাবির কাছ থেকেই আমি সব জেনেছি। জানি না সমস্যাটা আমি ঠিক তুলে ধরতে পারব কি না। আপনাদের মতামতটা খুব জরুরী আপু। এবার মূল কথায় আসি।
আমার ভাইয়াকে বরাবরই আমি খুব সম্মান করি। কোনদিন ভাবিনি তার ব্যাপারে এমনটা শুনতে হতে পারে। সে দীর্ঘদিন বাইরে থেকেছে পড়াশোনার খাতিরে। ভাবির সাথে তার সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। তারা একে অপরকে খুব ভালবাসে। এরকম ভালবাসা আমি খুব কম দেখেছি। ভাইয়া ভাবির জন্য সবই করতে পারত এক সময়। খারাপ কিংবা ভাল। ভাবি অনেক বড়লোকের মেয়ে। আমরা ওদের মত টাকা পয়সাওয়ালা না হলেও মোটামুটি স্বচ্ছল। যাই হোক, ভাইয়া ভাবির একটা মেয়ে আছে। ভাবি প্রথম দিকে আমাদের সাথে সেভাবে থাকত না বা চাইত না, যদিও আমরা খুব চাইতাম কারণ আমরা এই দুইটিই ভাইবোন। এতেই প্রথম তিক্ততার শুরু ওদের মাঝে। আমার বাবা মা ভাবিকে খুব ভালবাসে যদিও বিয়েতে তাদের মত ছিল না। কিন্তু ভাবি এটা বুঝতে চাইত না।
অবশেষে সে এখন আমাদের সাথেই থাকে। গতবার ভাইয়া ভাবি যখন দেশে ফিরে আসে তখন তাদের বাচ্চাটা কেবল হয়েছে। সেই থেকে তারা দেশে। ওই সময় ভাবি বাচ্চাকে নিয়ে খুব বিজি থাকত। এই ফাঁকেই নাকি ভাইয়ার সাথে অনেক মেয়ের সম্পর্ক শুরু হয়। আমরা কেউ কিছু বুঝি নি। ভাবিও না। কিছুদিন আগে ভাবি অন্য ব্যাপার নিয়ে রাগ করে বাবার কাছে গেলে এই ব্যাপারটা সামনে আসে তার। তখন আমরাও জানি তার মাধ্যমে সবটা। তাকে আব্বু আলাদা ভাবে ডেকে সবটা জানতে চাইলে সে সব অস্বীকার করে। এদিকে ভাবিও চলে আসে। এখন আমরা আরেকটা ভাইয়ের থেকে শুনেছি তার হঠাৎ করে তৈরী হওয়া সব অবৈধ সম্পর্ক বিষয়ে।
ভাবি যাই হোক না কেন ভাইয়াকে খুব ভালবাসে। আর এই ভালবাসার জন্যে সে তার করা ভুল গুলো যেমন শ্বশুর বাড়ি না থাকা,সবার সাথে ভাল সম্পর্ক না রাখা ইত্যাদি সব ঠিক করে নিবে। কিন্তু ভাইয়াকে আমরা এই পথ থেকে কীভাবে ফেরাব? সে কারো সাথে ইমোশনালি যুক্ত না কিন্তু শারিরিকভাবে তো যুক্ত হয়েছে। এই ঘৃণ্য কাজ থেকে কীভাবে তাকে ফেরাব আমরা? ভাবিকেও সে অনেক খারাপ কাজ করতে বলে নাকি।
সব শুনে আমিই ভাবিকে বলেছিলাম ও পারবে কিনা ভাইয়াকে মাফ করে থাকতে নতুন ভাবে। কিন্তু মানুষটাই যদি এরকম হয় তবে তো পরেও এমনটাই করবে। ভাবিই বা কতবার মাফ করবে? সেও তো মানুষ। ভাইয়ার সাথে তার বাচ্চার সম্পর্কও ভাল। তাকে দেখে এককজন ফ্যামিলি পারসনই মনে হবে সবার। কিন্তু এগুলো কি?! আমি ভাবিকে বলেছি সে যেন কোন জব করা শুরু করে যাতে করে তাকে কেউ ডিপেন্ডেন্ট না ভাবে। সে করবেও হয়তো। তবু সে চায় সংসার বাঁচাতে। কিন্তু এমন দোষ থাকলে ভাইয়াকে কীভাবে ফেরাব আমরা?
সে এমন না যে বাবা মাকে ভয় পায়। আম্মু তাকে বুঝিয়েছেও। আব্বু আম্মু সবাই ভাবির দিকেই। অন্যায়কে আমরা কেউ সাপোর্ট করব না। কিন্তু আমাদের করা না করায় কি আসে বলেন তো আপু? ভাইয়াকে এই সব থেকে ফেরাতে আমরা কী করব এখন? সে খুব চালাক। সে সব দিকেই ঠিক রাখছে যার জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না। বেশি কিছু বললে জেদ দেখাবে। হয়তো সামাজিকভাবেও তখন জানাজানি হবে। এখন আপনারাই একটা কিছু বলুন প্লিজ। আমি চাই আমার ভাইকে আমি আবার শ্রদ্ধা করি। কীভাবে আপু?
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেন : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোন।

পরামর্শ-

সত্যি বলতে কি, আপনার ভাইকে ফেরানোর কোন পথ নেই আপু। কারণ আপনার ভাইয়া তো ছোট কোন মানুষ নন, পূর্ণবয়স্ক পুরুষ। তাছাড়া আপনি নিজেই বললেন যে সে কাউকে ভয় পায় না এবং অনেক চালাক। তাহলে কী দিয়ে তাঁকে বোঝাবেন বলুন? ভালোবেসে বিয়ে করা স্ত্রীকেই যেহেতু তিনি আর কোন দাম দিচ্ছেন না, সেক্ষেত্রে আসলে সবই অচল।
আপনি লিখেছেন আপনার ভাবীকেও ভাইয়া অনেক খারাপ কাজ করতে বলে। এর অর্থ যে সেক্স্যুয়ালি খারাপ কাজ করতে বলে? যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ভাইয়ার মূল আসক্তি হচ্ছে সেক্স। আর খুব সম্ভবত সে পর্ণগ্রাফি আসক্তও। তার কাছে নারী মানে কেবলই একটা শরীর। সে যৌনতা নিয়ে খেলা লড়তে ভালোবাসে। বাইরের দেশে সহজেই দে ব্যবসায়ীদের কাছে যাওয়া যায়। এই দেশে সেই সুযোগ কম থাকায় অবৈধ সম্পর্ক করে নিজের চাহিদা মেটাচ্ছে। এবং সত্যি বলতে কি এটা দূর করার কোন উপায় নেই যদি না কেউ নিজে থেকে সরে আসতে চান। কারণ ভাইকে ঘরে বেঁধে তো আর রাখতে পারবেন না।
আপনার ভাবীর উচিত হবে ভাইয়ার সাথে শেষ একবার কথা বলা। তাঁকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া যে তিনি যদি এসব বন্ধ না করেন, ভাবী মেয়েকে নিয়ে চলে যাবেন আর কখনোই মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে দেবেন না। ভাইয়ার মাঝে কোনক্রমে যদি অপরাধ বোধ আপনারা জাগিয়ে তুলতে পারেন , কেবল তাহলেই এই পথে থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব। ব্যাপারটা এমনভাবে তার সামনে প্রেজেনট করতে হবে যে আজ তিনি অন্য মানুষের মেয়েদের সাথে এসব করছেন, কাল তার মেয়ের সাথেও কেউ এসব করবে। যেহেতু মেয়েকে তিনি ভালোবাসেন, মেয়েকে হারানোর ভয় পেলে সোজা হয়েও যেতে পারেন।
ভাবীকে বলুন মন শক্ত করে নিজের জীবনের কথা ভাবতে। চাকরি করতে, মানুষের সাথে মিশতে। নিজে যাই করুক না কেন, স্ত্রী যদি অন্য দিকে মন দেয় তাওলে সেটা কোন পুরুষই সইতে পারে না। কোনভাবে তার মাঝে এই ভয় জাগিয়ে তুলুন যে ভাবিও চাইলে তার মতই করতে পারে। এতেও খেলা পাল্টে যাবার একটা সুযোগ আছে। আর ভাবীকে মন শক্ত করতে বলুন। হয়তো নতুন করে জীবন শুরু করাটাই তার জন্য ভালো হবে। প্রিয়.কম

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী