তবে কি ? পৃথিবীতে এসেছিল ভিনগ্রহের প্রাণী!
বিজ্ঞানীরা এমন একটি অ্যালুমিনিয়াম টুকরার সন্ধান পেয়েছেন, যা দেখে হস্তনির্মিত বলেই মনে হচ্ছে এবং পরীক্ষা করে দেখা গেছে এটি ২,৫০,০০০ বছরের পুরোনো। এ থেকে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে কোনো এক সময় হয়তো ভিনগ্রহের প্রাণী এই পৃথিবীতে এসেছিল।
সিইএন-এর তথ্যমতে, ১৯৭৩ সালে কমিউনিস্ট রোমানিয়ায় এই রহস্যময় ধাতবখণ্ডটি আবিষ্কৃত হয়েছিল কিন্তু তখন সেটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।
পরীক্ষায় জানা গেছে যে, বস্তুটিতে ১২টি ধাতু এবং এতে ৯০ শতাংশ অ্যালুমিনিয়াম রয়েছে। বস্তুটি ২০ সেন্টিমিটার (৭.৮ ইঞ্চি) লম্বা, ১২.৫ সেন্টিমিটার (৪.৯ ইঞ্চি) চওড়া এবং ৭ সেন্টিমিটার (২.৮ ইঞ্চি) পুরু। প্রাথমিক ফলাফল সুইজারল্যান্ডের লুসানের একটি ল্যাব দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে সিইএন জানায়।
সত্যিকার অর্থে বিগত ২০০ বছরের পূর্ব পর্যন্ত মানবজাতির কর্তৃক কোনো ধাতব অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদিত হয়নি। তাই বড় এই ধাতবখণ্ডের আবিষ্কার যা কি না ২,৫০,০০০ বছর বয়সি বলে দাবি করা হচ্ছে তা সত্যিই একটি উত্তেজনাপূর্ণ আবিষ্কার হিসেবেই তুলে ধরা হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে রোমানিয়ান কেন্দ্রীয় শহর এইয়ুদ এর অদূরে মিউরেস নদীর তীরে কর্মরত শ্রমিকরা মাটির নিচে ১০ মিটার (৩৩ ফুট) লম্বা তিনটি বস্তু খুঁজে পান। তাদের কাছে এগুলো অপ্রচলিত এবং খুব পুরোনো বলে মনে হয়। পরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা এসে এর মধ্যে দুটোকে জীবাশ্ম বলে চিহ্নিত করে।
তৃতীয়টি মনুষ্যসৃষ্ট ধাতব এক টুকরা মতো লাগছিল, যদিও খুব হালকা ছিল এবং তারা সন্দেহ করেছিল যে এটি একটি কুঠারের শেষ প্রান্তও হতে পারে। তিনটিকেই রোমানিয়ান ট্রান্সিলভিয়া অঞ্চলের প্রধান শহর ক্লুজ-এ পাঠানো হয় আরো বিশ্লেষণের জন্য।
সেখানে বিশেষজ্ঞরা খুব দ্রুতই চিহ্নিত করতে পারেন যে দুটি ছিল একটি বৃহৎ বিলুপ্ত স্তন্যপায়ীর বড় হাড় যা ১০,০০০-৮০,০০০ বছর আগেই মারা গিয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা অবাক হয়ে যান যখন তারা চিহ্নিত করতে পারেন যে তৃতীয় বস্তুটি ছিল খুব হালকা ধাতুর এক টুকরা এবং সম্ভবত তা শিল্পজাত করা হয়েছিল।
এখন এটা নিয়েই উত্তপ্ত বিতর্ক চলছে যে, আদৌ বস্তুটি একটি ইউএফও-এর কি না এবং এর দ্বারা প্রমাণিত হয় কি না যে, অতীতে ভিন্ন গ্রহের প্রাণী এই পৃথিবীতে এসেছিল।
রোমানীয় ইউএফও বিশেষজ্ঞ সমিতির উপপরিচালক গোহিওগ কোহাল স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ল্যাব পরীক্ষায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, এটি একটি পুরোনো ইউএফও টুকরা, যা এমন পদার্থ দ্বারা গঠিত, পৃথিবী প্রযুক্তি দ্বারা এটি তৈরি করা সম্ভব নয়।
তবে, স্থানীয় ইতিহাসবিদ মিহাই উইটেনবার্গ দাবি করেন যে, বস্তুটি আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বিমান থেকে পড়া একটি ধাতব টুকরা।
তবে ইউএফও বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, এই ব্যাখ্যায় বিমানটির বয়সের কোনো ব্যাখ্যা নেই। ধাতব বস্তুটি এখন ক্লুজ-এর হিস্ট্রি মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে, যেখানে এর ওপর লেখা থাকবে ‘উৎপত্তি এখনো অজানা’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজকের যত আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হতে যাচ্ছেবিস্তারিত পড়ুন
মোবাইল নম্বর ঠিক রেখেই অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে: প্রক্রিয়া শুরু
মোবাইল ফোনের নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি-এমএনপি)বিস্তারিত পড়ুন
স্মার্টফোন কিনে লাখপতি হলেন পারভেজ
নির্দিষ্ট মডেলের ওয়ালটন স্মার্টফোন কিনে পণ্য নিবন্ধন করলেই মিলছে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন