তরুণদের কারিগরি শিক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
‘আমরা যদি দেশকে আরো উন্নত করতে চাই তাহলে এই নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করতে হবে কারিগরি শিক্ষায়। গতানুগতিক শিক্ষায় এটা সম্ভব নয়।’
রাজশাহীতে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে ‘বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বাংলাদেশ একটি দারিদ্রমুক্ত মডেল দেশ হবে। যেখানে শতবছর পরে লোকজন যাদুঘরে দেখতে যাবে দারিদ্রতা কেমন ছিল। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছেছে, দেশকে আরও উন্নত করতে হলে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে যুগোপোযোগী আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। যে শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু পরীক্ষায় পাশ করলে হবে না। আমাদের দেশের সমস্যার সমাধান বাইরের কেউ করে দেবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরই জ্ঞান সৃজন করতে হবে, গবেষণা করতে হবে। শুধু জ্ঞান-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হলেই হবে না। ভালো মানুষ হতে হবে। শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের সমন্বয় না হলে মানবকল্যাণে কাজ করা সম্ভব না।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। তারা শিক্ষায় অবদান রাখছে। তবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পূরণ করতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে।
রাজশাহী নগরীর খড়খড়ি বাইপাস এলাকায় বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত মূল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে উপদেষ্টা প্রফেসর এম সাইদুর রহমান খান, সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. শাহ নওয়াজ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর রফিকুল আলম বেগ, নর্থবেঙ্গল ইন্টান্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ওসমান গণি তালুকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর নুরুল হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান খান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী আমরা ২০১৯ সালের মধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে আমরা সরকার নিদের্শিত ৬ বিঘা জমির অধিক প্রায় ৩০ বিঘা জমি ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একটি বৃহৎ ক্যাম্পাস নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রমে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাফল্য ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২০১২ সালে ৬টি বিভাগে ৮৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে তিনটি অনুষদে ১০টি বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৫০০। আর শিক্ষক আছেন পূর্ণকালীন ১১৩ জন ও খণ্ডকালীন ৩৬ জন। বর্তমানে তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন