তাজিয়া মিছিল শুরু
বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার পরও রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের ঐতিহ্যবাহী হোসেনী দালানের ইমাম বাড়া থেকে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মিছিলটি বের করা হয়।
কালো-লাল-সবুজের নিশান উড়িয়ে, নিজ নিজ বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ ধ্বনি তুলে মিছিলটি এগিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে হোসেনী দালান চত্বরে পরপর তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথম তাজিয়া মিছিল বের করার মুহূর্তে এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে এক যুবক মারা যান। আহত হন শতাধিক।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল ও মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হোসেনী দালানের ৪০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম তাজিয়া মিছিলে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলো বলে জানান হোসেনী দালান কমিটির সভাপতি ফিরোজ হোসেন।
শোকের প্রতীক কালো পতাকা, লাল-সবুজের আলাম (দীর্ঘ লাঠির মাথায় ত্রিকোণাকৃতির পতাকা), ছোটো ছোটো পতাকা হতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু এই শোক মিছিলে অংশ নিচ্ছেন। তাদের মুখে বিলাপ ‘হায় হোসেন’, ‘হায় হোসেন’। এ ছাড়া মিছিলের অগ্রভাগে আছে দুলদুল ঘোড়া (ইমাম হোসেনকে বহনকারী ঘোড়ার প্রতীক), জিন (বসার আসন), মাথার খাপসহ বিভিন্ন উপকরণ।
মিছিল শুরুর আগে হোসেনী দালন প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক ও ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
শোক মিছিলটি হোসেনী দালন ইমাম বাড়া থেকে শুরু হয়ে বকশীবাজার, উর্দ্দু রোড, লালবাগ চৌরাস্তা হয়ে ঘোড়া শহীদের মাজার ও আজিমপুর হয়ে ধানমন্ডি জিগাতলায় গিয়ে শেষ হবে।
এর আগে, বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর দ্বিতীয় তাজিয়া মিছিলে অংশ নেওয়াদের শরীর তল্লাশি করে হোসেনী দালন প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
মিছিলের সামনে ও পেছনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুর সংখ্যক সদস্য উপস্থিত আছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
আমাদের কন্ঠস্বর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের হত্যারবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানী ঢাকায় এক দিনে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন