তাহমিনা আলীর স্বপ্ন জয়ের গল্প…
আমি তাহমিনা আলি অন্য ৮/১০ জন সাধারন মেয়ের মত আমিও পড়ালেখা করছিলাম,কখনো ভাবিনি আমি এমন কিছু করবো বা আমাক দিয়ে সত্যি কিছু হবে, আমি নিজেও একজন হিজাবি হওয়াতে শখের বসেই অনেক অনলাইন পেজে চোখ বুলানো হতো। তাদের অসাধারণ প্রোডাক্ট গুলো মুগ্ধ হয়ে দেখতাম শপিং ও করতাম কিন্ত মনে হত নিজের একটা কিছু থাকলে এই শপিং নিয়ে এত ঝামেলা হতনা।
সেই চিন্তা থেকেই ক্লাশরুম নামে একটা পেজের এডমিন হিসেবে ছিলাম সেখানে হিযাবের এড দিলাম আব্বুর আনা কিছু হিজাবের,কারন হিজাব আব্বু অলওয়েজ মালোয়শিয়া থেকে নিয়ে আসতো।আমি অনেক খুজে হিজাবের পরার জন্য হাতে বানান যে ফ্যান্সি এক্সেসোরিস আছে ওগুলা দিয়ে শুরু করলাম।
তখন আমি ক্লাসরুম এ পারটনার হিসেবে কাজ করতাম।এবং প্রথম দিনেই আমি ভাল রেস্পন্স পেলাম, হিজাব এ এড করব ভেবে আব্বুর কাছ থেকে ২০০০টাকা আর আমার পকেট মানির কিছু টাকা পুজি করে শুরু করলাম। জুলাই মাস ২০১৫ আমার প্রথম যাত্রা শুরু।তারপরে আস্তে আস্তে লোকাল হিজাব থেকে শুরু করে ইম্পরটেড হিজাব সেল শুরু করলাম। আল্লাহ ভালই চালাচ্ছিল এবং ক্লাসরুম এর পাশাপাশি ব্র্যনডিং এর জন্য আমি modesty and beyond নামে ১টা পেইজ খুলি এবং অল্প অল্প করে আগাতে শুরু করি।
অল্প সময়ে modestyr ভালো সারা পাই এবং ১টা গ্রুপ ওপেন করি যার বর্তমান মেম্বার প্রায় ৮৩০০। আর একটা সময়ে আমি আমার বেডরুমে বসে পেজের কাজ করলেও এখন আমার ভাইয়া আমাকে একটা অফিসের ব্যাবস্থা করে দিয়েছে কারন কোনভাবেই এই প্রজেক্ট বাসায় করা যাচ্ছিলোনা,এখন আমার নিজের অফিস আছে,নিজের ডেলিভারির লোক আছে,ইম্পোর্ট করার ব্যাবস্থাও আছে,মাত্র ২হাজার টাকায় শুরু করা প্রজেক্টের ভ্যালু এখন কয়েক লাখ টাকা,ইনশাল্লাহ কোটি টাকাও হয়ে যাবে,আর আমি বর্তমানে একটি ভার্সিটি তে ইংলিশ এ অনার্স করছি ২য় বররষ,আমার প্রধান শখ নতুন নতুন খাবারের সাদ নেয়া,সাথে হিজাব কালেক্ট করা তো আছেই,আর ফিউচার প্ল্যান আমার পেজ কে অনেক উচুতে নিয়ে যাওয়া যেখানে একদিন হিজাব ডেলিভারি/ইম্পোর্ট না শুধু হিজাব তৈরি হবে বিভিন্ন কাস্টমাইজড ডিজাইন সহ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন