তীব্র আকাঙ্ক্ষা থাকা সত্তেও যে কথাটি প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়নি ভ্যানচালক ইমাম শেখের!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শুক্রবার তাঁর গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়ে যেন হারিয়ে যান শৈশবের মধুর স্মৃতিবিজড়িত দিনগুলোতে। একটি সাধারণ রিকশাভ্যানে করে তিনি ঘুরে বেড়ান গ্রামের পথে।
বঙ্গবন্ধুকন্যার এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা হলে সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবিতে দেখা যায়, ভ্যানে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তাঁর বিদেশি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে রিকশাভ্যানে চড়িয়ে দারুণ খুশি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ইমাম শেখ (১৭)। কখনই ভাবতে পারেনি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তার রিকশাভ্যানে চড়ে বসবেন।
তবে তার খুশির মাঝে একটু অতৃপ্তি রয়েছে। আর সেটা হল নিজের তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা প্রধানমন্ত্রী কাছে না বলা। তার বয়স ১৭ বছর। গত দেড় বছর থেকে সে ভ্যান চালায়। ইমামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী সরদার পাড়ায়। পঞ্চম শ্রেণিতে আটকে যাওয়া ইমামের এখন জীবনযুদ্ধ চলে ভ্যানের হ্যান্ডেল ধরে।
বাবা আব্দুল লতিফ মানসিক রোগী, মা গৃহিণী। ইমাম শেখরা দুই ভাই, তিন বোন। এক ভাই ঢাকায় নতুন চাকরি শুরু করেছেন। এখনও বেতন পাওয়া শুরু হয়নি। ইমাম এলাকাতেই ভ্যান চালায়। তার উপার্জনেই চলে সংসার। শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধুর সমাধি এলাকার ১ নম্বর গেট থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিজের ভ্যানে বহন করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে যায় ইমাম শেখ। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দুরু-দুরু বুকে ভীষণ সাবধানতার সঙ্গে ভ্যান চালায় সে।
এ সময়ের মধ্যে বার-বার একটি কথাই বলতে চেয়েছিল ইমাম। কিন্তু চক্ষুলজ্জার কারণে ইমান সে কথা বলতেই পারেনি। কী সেই কথা..! ভ্যান থেকে নেমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোর ভ্যানচালক ইমামকে ৫০০ টাকা বের করে দেন। ইমাম টাকা নিতে রাজি হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভ্যানে চড়েছেন- এতেই সে মহাখুশি, আনন্দে আত্মহারা।
কিসের টাকা, কিসের কী? এমন স্মরণীয় মুহূর্তে তার জীবনে আর কোনোদিন আসেনি। তাই দুর্লভ এমন মুহূর্ত টাকার ফ্রেমে বন্দি করতে রাজি হয়নি ইমাম শেখ। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইমামের পকেটে টাকা গুজে দেন। তখন আর না বলে পার পায়নি ইমাম। টাকা নেওয়ার সময়ও ভ্যানচালক ইমাম শেখ প্রধানমন্ত্রীকে মনের আকুতিটি জানাতে চেয়েছিল। কিন্তু কথাটি মুখ ফুটে বলা হয়নি।
আজ শনিবার সকালে মোবাইল ফোনে যখন ইমাম শেখের সঙ্গে কথা হয়, তখন কেবল সে তার এই স্মরণীয় দিনটি উচ্ছ্বাস আর আনন্দের সঙ্গে বর্ণনা করছিল।
ইমাম জানায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী তার ভ্যানে চড়ে ঘুরবেন। আর সে হবে সেই ভ্যানের চালক। এমনটা সে কোনো দিনও কল্পনা করতে পারেনি।
তবে তার মনে আফসোস একটি রয়ে গেছে। কী সেই আফসোস- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলে, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা চাকরির কতা (কথা) কতি চাইছিলাম, এ কতাডাই কতি পারিনি। ‘
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন