বুধবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

তীব্র শীতে সারাদেশে বিপর্যস্ত জনজীবন

গত কয়েকদিন থেকে সারাদেশে তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। বাড়ছে শীতজনিত নানা অসুখ বিসুখ। পৌষের প্রথম দুই দশকে শীত কম থাকলেও শেষ সময় এসে প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আসল পরিচয়। কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও কনকনে হিমেল হাওয়া বইছে রাজধানীসহ গোটা দেশেই। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে তীব্র শীত পড়েছে। একেবারেই বেশি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শীতবস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুস্থ ও ছিন্নমূলরা।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড় কেনার হিড়িক পড়েছেন। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা ভিড় করছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। গতকাল বিকালে রাজধানীর নিউমার্কেট, হকার্স মার্কেট এলাকায় শত শত মানুষকে শীতের কাপড় কিনতে দেখা গেছে। গ্রামগঞ্জেও আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে মানুষ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকালের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। কুড়িগ্রাম, রংপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এছাড়া সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাতে তাপমাত্রা দুই/এক ডিগ্রি কমতে পারে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

রংপুরে শীত তীব্র আকার ধারণ করেছে। শীতে জবুথবু মানুষ বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। মানুষ আগুন কাঠ ও খরকুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কয়েকদিন থেকে শীতল হাওয়া বইতে থাকলেও গতকাল বাতাসের পরিমাণ অনেকটা কম ছিল। কিন্তু তারপরও কমেনি শীতের প্রকোপ।

জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কুমারগাড়ি এলাকার বাসিন্দা রবিউল জানান, ‘শীতোত মরি গেনো বাহে। খুব শীত পড়ছে (পড়েছে)। এনক্যা (এমন) শীত কমই দেখছি। মনে হওছে (হচ্ছে) দম বন্ধ হয়া যাওছে।’

বড় উজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা আফজাল জানান, ‘হামরা দিন আনি দিন খাই। শীতের কাপড় কিনমু ক্যামনে। ছোলপোল (ছেলেমেয়ে) নিয়া খুব কষ্টত আছি। হামার দিকে দেখার কেউ নাই। গরিব মাইনসের মরাই ভালো।’ শুধু তারাই নন শীতে অসহায় ও গরিব লোকজনও সবার অবস্থাই এমন।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কুয়াশার পরিমাণ কম থাকলেও উত্তরের কনকনে ঠান্ডা শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিলছে না সূর্যের দেখা। এ অবস্থায় গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষজন।

শীতের কারণে মাঠে যেতে পারছেন না কৃষি শ্রমিকরা। বিশেষ করে জেলার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকার চর ও দ্বীপ চরে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় এখানকার মানুষজন খুড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদি পশু পাখিরও।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: তীব্র শীতে জেলার জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। কাগজ পুড়িয়ে ছিন্নমূল মানুষরা শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। দেখা দিয়েছে সর্দিজ্বর, ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়া। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। তীব্র শীতের কারণে বিভিন্ন সরকারি ভবন, রেলস্টেশন, ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় গ্রহণকারী ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে।

নীলফামারী: কনকনে শীতের সঙ্গে বইছে হিমশীতল বাতাস। সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। ঠাণ্ডার পাশাপশি ঝিরঝির বৃষ্টি হওয়ায় আলুসহ বিভিন্ন খেতের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে।

দিনাজপুর: কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বইছে দিনাজপুরে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শীত এখনো চলছে। শীতে রেল লাইন ও বস্তি এলাকার মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে।

বিশেষ করে রেল স্টেশনসহ জেলার বিভিন্নস্থানে অবস্থানকারী ছিন্নমূল মানুষগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। শীতার্ত মানুষগুলো এক টুকরো গরম কাপড়ের জন্য তাকিয়ে আছে সরকার ও বিত্তবান মানুষের দিকে।

এদিকে হরেকরমের শীতবস্ত্রের পসরা নিয়ে বসেছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে শীতবস্ত্রের দাম বেশি হওয়ায় অভাবী লোকগুলো কিনতে পারছে না তাদের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র। তীব্র শীতের কারণে জেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এভাবে ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ার আশংকা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

উপদেষ্টা মাহফুজ: সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন,“গণ-অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থেবিস্তারিত পড়ুন

বড় ব্যবধানে অ্যান্টিগা টেস্টে হারলো বাংলাদেশ

চতুর্থ দিনেই অ্যান্টিগা টেস্টের ফল কোন দিকে গড়াচ্ছে, তা নির্ধারণবিস্তারিত পড়ুন

কিশোরগঞ্জে মা-বাবা ও ২ সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একই পরিবারের চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেবিস্তারিত পড়ুন

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা, ঢাবিতে গায়েবানা জানাজা
  • বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন?
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: চিন্ময় দাসকে নিয়ে ভারতের বিবৃতিতে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে
  • রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
  • জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে ‍সুবিধা পাওয়া যাবে
  • ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
  • শাকিব: আমার ক্যারিয়ারের সব বিগ হিট সিনেমা ঈদ ছাড়াই এসেছে
  • এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান ৬১.১% মানুষ, সংস্কার শেষে ৬৫.৯%
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের সংঘর্ষ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ১০ মৃত্যু
  • জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার পরামর্শ কমিশনের
  • দেশের সংকটে যে সমাধান দেখছেন তারেক রহমান