তোর্সার জলে ব্যাগে ভরে সন্তানকে ফেলে দিল বাবা-মা! তার পরে? দেখুন ভিডিও
ঘটনার পরই উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দুই জনকে ধরে জয়গাঁ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই শিশুটির বাবা-মা ভুটানের থিম্পুর বাসিন্দা।
সদ্যোজাত শিশুকে ব্যাগে পুরে জয়গাঁ এলাকার তোর্সা নদীতে ফেলে বাইকে চেপে পালাল মা-বাবা। এরপরই ব্যাগের ভিতর থেকে কান্নার আওয়াজ পেয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সালমা বিবি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা ছুটে গিয়ে ব্যাগটি তুলে আনেন নদী থেকে। ব্যাগ খুলতেই এক সদ্যোজাতকে দেখে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। দ্রুত স্থানীয়দের সাহায্যে ওই শিশুটিকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন আমিনা বিবি।
বর্তমানে সিসিইউতে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। অন্যদিকে সদ্যোজাতের বাবা ও মা-কেও পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। জানা যায়, আজ সকালে একজন মহিলা ও পুরুষ এসে দীর্ঘক্ষণ তোর্সা নদীর ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। এর পরে আচমকা তাঁদের মধ্যে একজন নিজের পিঠে থাকা ব্যাগ নদীর জলে ছুড়ে ফেলে দেন। তৎক্ষনাৎ নদীর জলে ভাসতে থাকা ব্যাগের ভিতর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। বরাতজোরে নদীতে বেশি জল ছিল না। শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে নদীর ধারে উপস্থিত স্থানীয়রা ব্যাগ নদীর জল থেকে তুলে আনেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে সালমা বিবি জানান, আজ সকালে তিনি স্বামীর সঙ্গে বাড়ির বাইরে নদীর ধারে বসে ছিলেন। সেই সময়ে এক মহিলা ও পুরুষ একটি ব্যাগ নদীতে ছুড়ে ফেলে দেন। সালমার ছেলের কানে একটি শিশুর কান্নার আওয়াজ আসে। সে দ্রুত তার মাকে এই কথা জানায়। তার পরেই সামলা ও তাঁর পরিবারের লোকেরা গিয়ে নদী থেকে ব্যাগ তুলে নিয়ে আসেন। ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে একটি সদ্যোজাত শিশু। কিছু বুঝতে না পেরে তাঁরা প্রথমে ওই শিশুটিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসনে।
সালমা বিবি আরও জানান, “ওই শিশুটিকে তার বাবা মা ফেলে দিয়ে গিয়েছে। এবার তারা এসে দাবি করলেও আমরা বাচ্চাটিকে ছাড়ব না। আমাদের কাছেই রাখব। নিজের বাচ্চার মতো করে বড় করব তাকে।” ঘটনার পরই উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দুই জনকে ধরে জয়গাঁ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ওই শিশুটির বাবা-মা ভুটানের থিম্পুর বাসিন্দা।
শিশুটির এখন সুস্থই রয়েছে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন। তিনি জানান, ‘আমরা আইনি পথেই যা করার করব। শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হলে সিডব্লিউসি-তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তার পরে সেখান থেকে ঠিক করা হবে, শিশুটিকে হোমে রাখা হবে, না তাকে দওক দেওয়া হবে।’
https://youtu.be/lmXV12y5MfQ
https://youtu.be/o_JDjOm1hXU
https://youtu.be/ygTVIprUvFU
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন