মঙ্গলবার, জুলাই ১, ২০২৫

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

থানা থেকে অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা ছিল ওদের!

থানা আক্রমণ করে অস্ত্র লুটের পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। গত বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার পাঁচ জঙ্গি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই জানিয়েছে। গ্রেফতারকৃত পাঁচ জনের মধ্যে একজন প্রকৌশলী, একজন অর্থনীতিতে মাস্টার্স, আরেকজন কারাতে ব্লাকবেল্ট হোল্ডার। গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

আটকরা হলেন: সোহেল রানা ওরফে খাদেম ওরফে মোয়াজ্জিন ওরফে সোহেল ওরফে শহীদুল্লাহ, আব্দুল হাকিম, রাজীবুল ইসলাম, গাজী কামরুস সালাম সোহান ওরফে আবু আবদুল্লাহ ও আবু সালেহ। এর মধ্যে গাজী কামরুস সালাম সোহান গাজীপুরের ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে বিএসসি পাস করেছেন।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, ঝিনাইদহ মসজিদের ইমাম মো. সোহেল রানার বাসা ছিল জঙ্গিদের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি সেফ জোন। সে ২০১৩ সালে জঙ্গিবাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নিউ জেএমবির সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে যোগ দেয়। সোহেলের ব্যবস্থাপনায় তার নিজ বাড়িতে জঙ্গিদের মিটিং হতো। সেখানে একটি মিটিংয়ে থানা আক্রমণ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের নির্দেশনা আসে। তবে কোন থানা, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, ১০টি ককটেল, ৫টি ডেটোনেটর, এক কয়েল তার, এক কেজি সাদা পাউডার, ২০০ গ্রাম বারুদ, দেড় কেজি তারকাঁটা, দু’টি সার্কিট বোর্ড এবং ১৫টি ক্লিপ টাইপ সার্কিট উদ্ধার করা হয়।

র্যাবের মিডিয়া পরিচালক বলেন, থানায় আক্রমণের লক্ষ্যে সোহেল রানা থানার ভেতরে একজন এজেন্ট নিয়োগ করে। সেই এজেন্টের মাধ্যমে থানায় কতজন পুলিশ সদস্য থাকেন, কার কখন ডিউটি পরিবর্তন হয়, কি পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ মজুদ আছে, সেসব তথ্য গোপনে সংগ্রহ করতো সে। সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সারোয়ার বিভিন্ন জায়গায় গোপন নির্দেশনা সম্বলিত চিঠি প্রথমে সোহেলকে পাঠাতো। পরবর্তীতে সেগুলো নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতো সোহেল। জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জঙ্গিবাদে জড়িত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতো তারা।

মুফতি মাহমুদ আরো বলেন, আটক সোহেলের প্রধান দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ সংগ্রহ করা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২৮ লাখ টাকা আদান-প্রদানের বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা ও বিভিন্ন অস্ত্র ক্রয় ও বিস্ফোরক তৈরি করতে শামীমের সঙ্গে এক লাখ ২২ হাজার টাকা, সাইদের সঙ্গে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা, রেজওয়ানের সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা, আমিন বেগের সঙ্গে তিন লাখ টাকা, সাইফের সঙ্গে তিন লাখ টাকা, শেলীর সঙ্গে চার লাখ ৬৫ হাজার টাকা, জাকিরের সঙ্গে তিন লাখ টাকা, সাইফুল্লাহর আত্মীয়র সঙ্গে চার লাখ টাকা এবং অন্যদের সঙ্গে দুই লাখ তিন হাজার টাকা লেনদেনের তথ্য জানা গেছে।

অন্যরা জঙ্গি যেভাবে: র্যাব জানায়, গোপালগঞ্জ জেলার ভেড়া বাজার থানার আড়পাড়া গ্রামের গাজী কামরুস সালাম সোহান পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৭ সালে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে গাজীপুরের ইসলামী ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিষয়ে বিএসসি শেষ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে বন্ধু সিফাতের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে তাকে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণের জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে সোহান বিস্ফোরক তৈরির শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পান।

মাগুরা জেলার সদর থানার রামনগর গ্রামের রাজীবুল ইসলাম ওরফে রাজীব ওরফে আহমেদ ছিলেন সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে দলে শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জসিম উদ্দীন রহমানির ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ঢাকা কলেজ থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স শেষ করে ফাইভ স্টার সিমেন্ট কোম্পানির সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কাজ করেছেন রাজীবুল।

সারোয়ার তামিম-গ্রুপের শারীরিক ও কারাতে প্রশিক্ষক ছিলেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার তুলোনা গ্রামের শেখ মো. আবু সালেহ। ২০০২ সালে মামুন নামের এক জঙ্গির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হন। ২০০৩ সালে কারাতে শেখার জন্য কলাবাগান থানা এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। ২০০৯ সালে ব্লাকবেল্ট পেয়ে জঙ্গিদের কারাতে প্রশিক্ষণের কাজে নিযুক্ত হন।

কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার হোসেনপুর মোল্লাবাড়ির আব্দুল হাকিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করেন। পরে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার মাখাবাপুর উলুম মাদ্রাসা থেকে ‘দাওরায়ে হাদিস’ পাস করেন। তিনি ভালো বক্তা ও শিক্ষক ছিলেন। আব্দুল হাকিম জঙ্গিবাদে অনুপ্রাণিত হন জসিম উদ্দীন রহমানির মাধ্যমে। পর্যায়ক্রমে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) শীর্ষ পর্যায়ে চলে যান।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ হামাস-ইসরায়েল

ইরান-ইসরায়েলের “১২ দিনের যুদ্ধ” থেমেছে, কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মানুষেরবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন, ৫ পর্যটকের কারাদণ্ড-অর্থদণ্ড

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড়ে ঘুরতে গিয়ে গাঁজা সেবন করে উচ্ছৃঙ্খল আচরণবিস্তারিত পড়ুন

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে মামলার স্বাক্ষীকে মারধর

ঝিনাইদহে আদালত চত্বরে চাঁদাবাজির মামলার স্বাক্ষীকে হত্যার হুমকি ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ২০২৪ সালে ‘ডামি নির্বাচন’ হয়েছে, আদালতে স্বীকার করলেন হাবিবুল আউয়াল
  • দেড় কোটি বাংলাদেশি প্রবাসীকে ভোটার করতে আইনি নোটিশ
  • দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে কমিটি
  • খামেনি: ইরান আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় দিয়েছে
  • জুলাই স্মৃতি উদ্‌যাপনে কর্মসূচি ঘোষণা
  • দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ও নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
  • উপদেষ্টা: গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সক্ষম সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন চাকরিতে 
  • ইরানে সরকার পরিবর্তন চান না ট্রাম্প
  • কমলো স্বর্ণের দাম, ভরি পৌনে দুই লাখের কাছাকাছি
  • ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ৭১
  • গোলাম পরওয়ার: নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ নেমে আসবে
  • আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র