দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বরাদ্দ না দিতে সুপ্রিম কোর্টের চিঠি
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রাম দাঁড়িপাল্লা হওয়ায় তা কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতে না দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে হাতে হাতে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি নির্বাচনে কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা অংশ নেন।
সাব্বির ফয়েজ বলেন, দাঁড়িপাল্লা যেন প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়টি জানিয়ে আজ বুধবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠন প্রতীক হিসেবে যেন দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার না করতে পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই চিঠিতে নির্বাচন কমিশনকে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে বা নির্বাচনে প্রার্থীর প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা বরাদ্দ হয়ে থাকলে তা বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে অন্য কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা অনাকাঙ্ক্ষি তও অনভিপ্রেত। সুপ্রিম কোর্টের প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি দাঁড়িপাল্লা যদি কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাহলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এই প্রতীকটি যেন সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এতদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন করলে সেই প্রতীক হারাতে পারে দলটি।
অবশ্য ২০১২ সালে এক রিট মামলায় বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধনকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন