দিনে ৬ ঘণ্টা যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এই নারী (ভিডিও)
দিনে ছয় ঘণ্টা যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন আমেরিকার অ্যারিজোনা রাজ্যের এক নারী। ৩০ বছরের কেরা অ্যানা যখন স্বামীর সাথে যৌন মিলন করেন, তখন ২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ বার অর্গাজম হয় তার, যা যৌন মিলনের ইতিহাসে বিরল।
যৌনাকাঙ্খার কারণে বিব্রত অবস্থার মধ্যে থাকতে হয় অ্যানাকে। তার এই দীর্ঘ যৌন আকাঙ্খার জন্য দায়ী ‘পারসিসন্টেস জেনিটল অ্যারোজাল ডিসওর্ডার’ যার সংক্ষিপ্ত নাম-পিজিএডি।
অ্যানা যখন বিদ্যালয়ে, খেলার মাঠে বা সুপার মার্কেটে যান, তখনো তার উত্তেজনা চলতে থাকে। এটি প্রথম ধরা পড়ে কয়েক বছর আগে। একদিন বিকেলে শপিংমলে যাওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে ওই শপিংমলের স্টোর রুমে পাওয়া যায়। সেখানে মেঝের উপর যৌন উত্তেজনায় কাতর অবস্থায় ছিলেন তিনি।
তিন বছর আগে তার সমস্যাটি নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান অ্যানা। তবে এর কোনো ভালো সমাধান দিতে পারেননি চিকিৎসকরা। তারা বলেন, এর কোনো সমাধান দিতে তারা সম্পূর্ণ অক্ষম। ডায়াগনসিস করার পর অ্যানা বুঝতে পারেন, তার জীবন আর দশটা নারীর মতো নয়।
অ্যানা বলেন, ‘আমি কখনই যৌন জীবন নিয়ে সুখী হতে পারিনি। ক্লান্ত এবং নিঃশেষিত হওয়ার পরও আমার যৌন চাহিদা থেকেই যায়।’
এ কারণে স্বামী টনির সাথে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। টনি বলেন, ‘আমি তাকে বিশ্বাস করতাম না। সে যা করতো, সেজন্য তাকে আমি উম্মাদ মনে করেছিলাম। তার কষ্টের সময়ে আমি তাকে কোনো সাহায্য করতে পারিনি।’
একমাত্র ছেলে মেরিককে নিয়েও দুশ্চিন্তায় ভোগেন অ্যানা। তিনি বলেন, ‘মা হিসেবে আমি গত তিন বছর নিজের সাথে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। চারপাশের মানুষ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। চারপাশের শিশুরা যখন আমার এই অবস্থা দেখে, তখন আমি খুবই বিব্রত বোধ করি। আমার সম্পর্কে শিশুরাও অনেক খারাপ ধারণা পোষণ করতে থাকে। এতে আমার ছেলেরও অনেক খারাপ লাগে।’
বিশেষজ্ঞদের সাহায্য এবং নিজের প্রচেষ্টায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন অ্যানা। অ্যানা বলেন, ‘এই রোগ যেন আর কারো না হয়।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন