রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

দুই আঙুলের পা যাদের..!

আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার কনভেনশন অনুযায়ী, ‘উপজাতি হিসেবে তারাই বিবেচিত হবে, যারা নিজস্ব ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রথাগত জীবন যাপন করে। যাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রা মূল জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা এবং যাদের নিজস্ব সামাজিক প্রতিষ্ঠান, প্রথা ও আইন আছে।’

সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রায় উপজাতিরা শুধু মূল জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা নয়, শারীরিক বৈশিষ্ট্যেও তারা মূল জনগোষ্ঠী থেকে খানিকটা ভিন্ন। কোনো কোনো উপজাতির শারীরিক বৈশিষ্ট্য মূল জনগোষ্ঠী থেকে এতটাই আলাদা যে, তাদের ভিনগ্রহের মানুষ বলে মনে হয়।

জিম্বাবুয়ের ভেডোমা এমনি একটি উপজাতি, যারা অদ্ভুত এক শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এই উপজাতির প্রতিটি শিশু দুই পায়ে ১০টির পরিবর্তে চারটি আঙুল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। বৈজ্ঞানীকভাবে এই শারীরিক বৈশিষ্ট্যকে বলা হয় ইক্টোড্যাক্টলি এবং এই শারীরিক বৈশিষ্ট্যর জন্য ভেডোমাদের বলা হয় দোপায়ী বা উট পাখি উপজাতি।

ভেডোমা উপজাতির বসবাস জিম্বাবুয়ের কেনিয়াম্বা অঞ্চলে। মুয়াজামুটান্ডা নদীর অববাহিকায় বসবাবাসরত এই উপজাতিকে বলা হয় হান্টার গেদারস। হান্টার গেদারস সেই সমস্ত উপজাতিকে বলা হয়, যারা কোনো চাষাবাদ করে না এবং খাদ্যের জন্য বন ও বন্য প্রাণীর উপর সম্পুর্ণ নির্ভরশীল।

ভেডোমা উপজাতি ডেমা ভাষায় কথা বলে। ভেডোমা রূপকথা অনুসারে তাদের বিশ্বাস, তাদের পূর্বপুরুষরা বাউবো নামে একটি গাছ থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। সুতরাং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে গাছের প্রভাব খুব বেশি।

জিম্বাবুয়েতে ভেডোমাদের নিয়ে বহু রূপ কথা প্রচলিত রয়েছে। জিম্বাবুয়ের কিছুসংখ্যক লোক বিশ্বাস করে, এই জনগোষ্ঠীর লোকেরা জাদুবিদ্যা জানে এবং এই জাদুবিদ্যার সাহায্যে তারা বনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে। যাযাবর জীবনে অভ্যস্ত ভেডোমারা ফাঁদ পেতে বন্য প্রাণী শিকার, মাছ ধরা, মধু আহরণ এবং বন্য ফল-মূল সংগ্রহ করে তাদের খাদ্যের সংস্থান করে।

জিম্বাবুয়েতে ইউরোপীয় উপনিবেশের পূর্বে ভেডোমারা মুতাপা সম্রাজ্যের (১৪৩০-১৭৬০) সঙ্গে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তাদের ওই সময় থেকে কৃষিকাজবিহীন এক প্রকার নির্বাসিত জীবন কাটাতে বাধ্য করা হয়। এরপর জিম্বাবুয়েতে ইউরোপীয় উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। উপনিবেশ থেকে স্বাধীন হলেও ভেডোমাদের জীবনযাত্রায় খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তারা এখনো সেই আগের মতো প্রাচীন অরণ্যচারী, গুহাবাসী জীবন যাপন করে যাচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?

এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন

১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

  • লজ্জায় লাল হয়ে যায় পাখিও
  • দুই হাতের হৃদয়রেখা মিলে গেলে কি হয় জানেন?
  • ৩২১ থেকে ওজন কমিয়ে ৮৫!
  • রং নম্বরে প্রেম, বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ঝলসে যাওয়া মুখ
  • পানিতে ভেসে উঠলো অলৌকিক হাত!
  • ১৫ বছরে একবার ফোটে ‘মৃত্যুর ফুল’
  • চা বিক্রেতা এখন ৩৯৯ কোটি টাকার মালিক
  • একটি মাছের বিষে মারা যেতে পারে ৩০ জন
  • মোবাইল কিনতে ছয় সপ্তাহের শিশুকে বিক্রি
  • পরকীয়ায় জড়াচ্ছে নারীরা প্রধান যে তিনটি কারণ নেপথ্যে
  • ২৪০০ কেজি খিচুড়ি রান্না হয় যেখানে দৈনিক !
  • পরীক্ষায় ফেল করলেই বিবাহ বিচ্ছেদ