শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

বিচারকদের কর্মশালায় প্রধান বিচারপতি

দেওয়ানি কার্যবিধি ব্যবহারের অনুপযোগী

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা বলেছেন, দরিদ্র, নারী ও শিশু, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে একটি জুডিশিয়াল পলিসি করতে হবে। এই পলিসি প্রণয়ন ছাড়া সৃষ্ট বিশাল মামলার জট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।

একটি আধুনিক বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই শুধু জনগণকে সময়মতো, কার্যকর ও মানসম্মত বিচার দেওয়া এবং ৩০ লাখ মামলার জট থেকে মুক্তি সম্ভব। ‘অধস্তন আদালতের জন্য মামলা ব্যবস্থাপনা পলিসির উন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ উন্নত দেশগুলো সমন্বিত জুডিশিয়াল নীতি প্রণয়ন করে মামলার জট থেকে মুক্তি পেয়েছে। তেমনি আমাদের দেশে জুডিশিয়াল পলিসি তৈরি হলে মামলার নিষ্পত্তিতে কর্মপন্থা তৈরি, প্রশাসনিক উৎকর্ষ বৃদ্ধি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হবে। ’

সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত দুই দিনের এ কর্মশালায় অধস্তন আদালতের ৪০ জন বিচারক ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও দাতা সংস্থা ইউএসএইডের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ও ইউএসএইডের ডেপুটি চিফ অব পার্টি ড. শারমিন ফারুক বত্তৃদ্ধতা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার হোসনে আরা আকতার। পরে অধস্তন আদালতের বিচারকরা তাঁদের বিচারিক জীবনের অভিজ্ঞতা এবং সমস্যা সমাধানে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (বিচার ও প্রশাসন) সাব্বির ফয়েজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, বিচারকস্বল্পতা, প্রশিক্ষিত জনবল, মামলার শাখা বিন্যাস, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে দক্ষতার অভাব, সনাতন মামলা ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা, সেকেলে অফিস প্রযুক্তি, বিচারপ্রক্রিয়ায় বিলম্ব, বারবার আদালতের কাছে অপ্রয়োজনীয় আবেদন দাখিলসহ বিভিন্ন কারণে মামলাজট বাড়ে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মামলাজট দূরীকরণ এবং কার্যকর মামলা ব্যবস্থাপনার কৌশল প্রণয়নের মতো বাংলাদেশে একটি দক্ষ বিচার বিভাগ রয়েছে। মামলাজট দূর করার জন্য বিচার বিভাগের স্বকীয় ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা থাকতে হবে এবং দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করতে হবে। একমাত্র আধুনিক ও সাফল্যজনক মামলা ব্যবস্থাপনাই পারে এ থেকে আমাদের উত্তরণ করতে। বিচার বিভাগে বর্তমান সময়ে যেসব কর্মকর্তা নিয়োগ পাচ্ছেন, তাঁরা অনেক বেশি দক্ষ। এই বিভাগকে আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিচারকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ’

দ্রুত প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটছে, এর প্রভাব অর্থনীতির ওপর পড়ছে। ফলে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সামনে আসছে—উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ অবস্থায় বিচার বিভাগ ধীরে চলতে পারে না। বিশ্বায়নের এই যুগে বিচার বিভাগকে যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জুডিশিয়াল পলিসি হলেও আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ছাড়া তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এই কাজে অংশীজনদের এগিয়ে আসতে হবে। এই পলিসি প্রণয়নে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের মানসিকতাও বিবেচনায় নিতে হবে। কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিচারিক কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও জ্ঞান সক্রিয় ভূমিকা, সুপারিশ, উপদেশ, পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্য অধস্তন আদালতের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত জুডিশিয়াল পলিসি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি। ’

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘কিছুদিন আগে একটি স্টেশন (আদালত) পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ৯ জন বিচার বিভাগীয় হাকিমের মধ্যে আছেন মাত্র দু?জন। সামনে বেশ কয়েকজন জেলা জজ অবসরে যাবেন। যে প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হয়, তাতে শূন্য পদ পূরণে চার-পাঁচ মাস সময় লেগে যায়। অথচ এই সময়ে মামলা হচ্ছে এবং মামলার স্তূপ তৈরি হচ্ছে। এটি অন্যতম সমস্যা। তাই অধস্তন আদালতে কোনো পদ খালি হলে তা দ্রুত পূরণ করতে হবে। ’

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থা হলো ব্রিটিশ ব্যবস্থাপনা, যা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। এই ব্যবস্থাপনায় ইন্দো-মোগল ও ইংরেজি আইনের সংমিশ্রণ রয়েছে। ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি) পুরোপুরি সেকেলে হওয়ায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে তা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ব্যবস্থার অধীনে আইনজীবীরা বিচারপ্রার্থীদের সব সময় মামলা করার পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ নিয়ে থাকেন। এ কারণে অনেক বেশি মামলা হয়। এই ব্যবস্থায় বিচারপ্রক্রিয়া অনেক পুরনো। আইনটির ১৪৪ ও ১৫১ ধারা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার কারণে কিছু কিছু মামলা ১২-১৩ বছর, এমনকি ২০ বছরেও শেষ হচ্ছে না। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলোতে দু-তিন ধরনের বিচারক রয়েছেন। কিছু বিচারক প্রশাসনিক কাজ করছেন। এমনকি জাপানেও এ ধরনের বিচারক রয়েছেন। শুধু প্রশাসনিক কাজ করলেও তাঁরা বিচারক হিসেবে পরিচিত। এসব দেশে একজন বিচারক রায় দেওয়ার পরপরই বিষয়টি অন্য বিচারকের কাছে পাঠিয়ে দেন মামলার খরচ মেটানোর জন্য। একজন মামলায় হেরে যাওয়ার পর তার কাছে মামলার খরচ বহন একটি বোঝা হিসেবে দেখা দেয়। এই পদ্ধতি চালু করলে বিচারপ্রার্থীরা মামলা করতে হিসাব করবে। আমাদের প্রচলিত আইন সংশোধন করে মামলার খরচ বহনের বিষয়ে বিশেষ বিধান যুক্ত করা উচিত। ’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন

রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন

যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • ধর্ম উপদেষ্টা: মসজিদে নববীর আদলে গড়ে তোলা হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
  • রাজশাহীতে মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে
  • ২ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল রুটে ট্রেন চলবে
  • ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
  • সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
  • রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
  • ড. ইউনূস: খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত
  • দেশের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দীন
  • ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস
  • পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩৮
  • সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
  • ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ