দেবতা নন, এই মন্দিরে পুজো হয় এক আশ্চর্য কুক্কুরীর

প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে পুজো দেন। কুক্কুরীটির মূর্তিতে চড়ানো থাকে মালা, সামনে জ্বলে ধূপ, প্রসাদ চরণামৃতও অন্যান্য দেবমন্দিরের মতোই।
না, এই সারমেয়টির সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতিতে একান্ত পরিচিত কালভৈরব কাল্টের কোনও সংযোগ নেই। তবু ইনি পুজো পেয়ে আসছেন দীর্ঘকাল ধরে। কালভৈরবের মন্দিরে কুকুর পূজিত হয় দেবতার বাহন হিসেবে। কিন্তু, ঝাঁসির মৌরানিপুর শহরে এক সাধারণ পথকুক্কুরীই ‘দেবী’ হিসেবে গণ্য হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এখানে পুজো দেন। কামনা— অশুভ দৃষ্টির থেকে যাতে দূরে থাকা যায়। কুক্কুরীটির মূর্তিতে চড়ানো থাকে মালা, সামনে জ্বলে ধূপ, প্রসাদ চরণামৃতও অন্যান্য দেবমন্দিরের মতোই।
কীভাবে এক পথকুকুর ‘দেবতা’ হয়ে ওঠে— সেই কাহিনিও ভারি রোমাঞ্চকর। স্থানীয় কিংবদন্তি অনুযায়ী, কোনও এক কালে এক কুক্কুরী সন্নিকটবর্তী রেওয়ান ও কাকওয়ারা গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় থাকত। দুই গ্রামেই সমান বিচরণ ছিল তার। কোনও এক উৎসব উপলক্ষে দুই গ্রামেই ভোজের আয়োজন করা হয় একবার। কুক্কুরীটি প্রথমে রেওয়ান গ্রামে যায়। গিয়ে দেখে, খাবার তখনও তৈরি হয়নি। আর পরে সে কাকওয়ারায় প্রবেশ করে। সেখানেও রান্না শেষ হয়নি দেখে হতাশ হয়ে দুই গ্রামের সীমান্তে অপেক্ষা করতে থাকে। সে ভেবেছিল, যে গ্রামে আগে উৎসব শুরুর ঘণ্টা বাজবে, সেখানেই সে আগে দৌড়বে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই গ্রামের ঘণ্টাই একসঙ্গে বেজে ওঠে। আর কোনদিকে যাবে, স্থির করতে না পেরে কুক্কুরীটি প্রাণত্যাগ করে।
সেই কুক্কুরীর স্মৃতিতেই গড়ে ওঠে এই মন্দির। দুই গ্রামের মানুষ পরম্পরাগতভাবে বিশ্বাস করেন, সেই কুক্কুরীর আত্মা আজও স্থানীয় জনপদগুলিকে অশুভ নজর থেকে রক্ষা করছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন

এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন

৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন