শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

দেশ স্বাধীন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্ররা কেন পরাধীন?

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেন অনুভব করছে, এই শিক্ষিত মানুষদের ‘বসতিতে’ তারাই সবচেয়ে পরাধীন! ক্যাম্পাসে থাকতে হলে, হলে সিট পেতে হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের আনুগত্য করতে হয়। তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ করতে হয়।

আজ ২৬শে মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এভাবেই জানালো তাদের স্বাধীনতা ভাবনা আর খেদের কথা।

তাদের মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আজও প্রকৃত পক্ষে স্বাধীনতা তারা পায়নি। প্রতিবছর নামমাত্র স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার গড়ার যে স্বপ্ন বুনেছিলেন সে অর্থে ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তা পূরণ হয়নি।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন গরীবদের নিয়ে বাঁচতে, গরীবের স্বপ্ন পূরণ করতে। তারা যাতে মোটা ভাত, মোটা কাপড় পরে শান্তিতে থাকতে পারে সে চিন্তাই বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। কিন্তু এখন গরীবদের নিয়ে কেউ ভাবে না।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে হচ্ছে। দেশে যে সরকার আসে সে সরকারের জয়গান গেয়ে মিছিল-মিটিং এ যেতে হচ্ছে। তাদের নিজের কোনো মতপ্রকাশ করার সুযোগ তারা পাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো পক্ষ নিতে হচ্ছে। তাই স্বাধীন দেশে থেকেও তারা পরাধীন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এখন নারীর বস্ত্রহরণের মতো ঘটনা ঘটছে। অথচ অপরাধীতের শাস্তি হচ্ছে না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষাথী রহমান শোয়েব। এ প্রসঙ্গে কলা অনুষদের ঝুপড়িতে তার সঙ্গে কথা হয়, তিনি বলেন, যে চেতনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন তা আজও পূরণ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের যে অর্থে স্বাধীনতা তা অর্জিত হয়নি। যারা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিল তারা আজ অনেকেই পথে পথে, এমনকি ভিক্ষা করে জীবনযাপন করছেন অনেকেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আবু বক্কর সিদ্দিক রাহাত বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে যে অধিকার তা পাচ্ছি কই। শুধু গত বছরের তনুর মতো প্রায় ৭’শ নারী ধর্ষিত হয়েছে। এছাড়া হাজার হাজার বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, এর সুষ্ঠু বিচার কই? স্বাধীনতা দিবসটা নিতান্তই নামমাত্র!

আবার অনেক শিক্ষার্থী মনে করছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের সবাইকে যদি ফাঁসি দেয়া হয় তাহলে দেশে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। নাগরিক অধিকার যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মেরিন সায়েন্স এন্ড ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সিফাত বলেন, ‘অবশ্যই সাম্প্রতিক সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণ দুঃখজনক। তবে যুদ্ধাপরাধী অভিযুক্তদের ফাঁসি দেয়া হলে এ অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে এবং নাগরিক অধিকার নাগরিকরা যথাযথভাবে ভোগ করবে।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন

ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন

হত্যাকাণ্ডসহ সব অনভিপ্রেত ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।বিস্তারিত পড়ুন

  • বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের
  • নতুন শিক্ষাক্রমে বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন ৭ ধাপ হবে
  • একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ আজ
  • বুয়েট পাচ্ছে ১০০ কোটি টাকার ন্যানো ল্যাব  
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০ দিনের ছুটি শুরু কাল
  • একাদশে ভর্তির আবেদন পড়েছে ১২ লাখের বেশি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
  • দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে বেড়েছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
  • ময়মনসিংহ বোর্ডে পাসের হার ৮৫ শতাংশ, এগিয়ে মেয়েরা
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ইবির শেখ রাসেল হলের নয়া প্রভোস্টের দায়িত্বগ্রহণ