ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ উক্তিটি ইসলামবিরোধী
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এমন উক্তির বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফী বলেছেন, ‘ভিন্ন ধর্মালম্বীদের প্রার্থনা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কতিপয় মুসলমানের শরীক হওয়াকে সমর্থন ও উৎসাহিত করে এমন বক্তব্য দেয়া সম্পূর্ণ ইসলামবিরোধী।’
রোববার বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের প্রেস সচিব মুনীর আহমদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায়সহ একটি মহল থেকে “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” বলে যে আওয়াজ তোলা হচ্ছে তা কুফরী উক্তি। এমন শ্লোগান তোলাটা মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ ধ্বংস করার নানামুখি ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ। ঈদ বা পূজা জাতীয় বা সামাজিক কোনো রীতি বা অনুষ্ঠান নয়, এটা একান্তই ধর্মীয় অনুষ্ঠান। তাই ধর্মীয় যে কোনো আয়োজন-অনুষ্ঠানে স্ব-স্ব ধর্মাবলম্বীদের স্বাতন্ত্রবোধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় মুসলমানদের জেনে রাখা জরুরি যে, অমুসলিমদের প্রতি ইনসাফ ভিত্তিক নাগরিক আচরণ ও সম্প্রীতিপূর্ণ মনোভাব রাখা ইসলামের শিক্ষা। অমুসলিমদেরকে সবধরনের সামাজিক ও মানবিক সহযোগিতা করা যাবে। এতে ইসলাম কোনোরূপ বাধা দেয় না। কিন্তু তাদের ধর্মীয় উপাসনা, পূজা বা আরাধনায় যে কোনোরূপ অংশ নেয়া মুসলমানের জন্যে অবশ্যই হারাম।’
তিনি আরো বলেন, ‘নিজে পূজা করা যাবে না, প্রতিমা তৈরিতে ব্যক্তিগত অর্থ সাহায্য করা যাবে না, ভিন্ন ধর্মালম্বীদের যে কোনো ধরনের উপাসনায় দৈহিক, মানসিক, আর্থিক কোনো ধরনের সহায়তা দেয়া যাবে না। যদি কোনো মুসলমান ব্যক্তিগত পর্যায়ে অমুসলিমদের পূজা অর্চনায় শরীক হয়, পূজা অনুষ্ঠান উপভোগ করে, দেবীর কাছে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে, দেবীর বিভিন্ন গুণকীর্তন করে, তাহলে সে কোনোভাবেই আর মুসলমান থাকে না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন