ধর্ষণের শিশু সাক্ষী হয়ে গেল আসামি
ঝিনাইদহে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষককে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। ওই শিশুর বিরুদ্ধে আদালতে ‘দোষীপত্র’ (শিশুদের ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের স্থলে) দাখিল করেছে কালীগঞ্জ থানার পুলিশ। আজ সোমবার ওই শিশু আসামি হিসেবে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসে। এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়।
আজ আদালতে ওই শিশুর হাজির হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক আবদুল বারী।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে উপজেলার মোস্তফাপুর গ্রামে ১০ বছর বয়সের এক মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। গুরুতর অবস্থায় ওই মেয়েশিশুকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ২৫ এপ্রিল মেয়ের বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের এক মাদ্রাসাছাত্রের (১৪) বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার নম্বর ৭।’
ওসি আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, ‘মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গ্রহণ করা হয়। এ মামলায় একই গ্রামের আরেক শিশুকে (১০) প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী করেন বাদী। মামলার তদন্ত করেন কালীগঞ্জ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী। গত ৩০ জুন ওই মামলার দোষীপত্র দাখিল করেন তিনি। এতে ধর্ষকের সহযোগিতার অভিযোগে আসামি হিসেবে ওই শিশুর (১০) নাম যোগ করেন তিনি। ওই দোষীপত্রের নম্বর ৫১।’ অর্থাৎ সাক্ষী হয়ে গেল আসামি।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, দাখিল করা দোষীপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে আবেদন করেছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, ওই শিশু আসামি আজ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে আদালত তা গ্রহণ করেননি। যেহেতু মামলাটির বিচার শুরু হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১-এর আদালতে। আর ওই আদালতে ছুটি চলছে। তাই বিচারক ওই আবেদন নেননি। আর পুলিশও তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এরপর ওই শিশুটি নিজ বাড়িতে চলে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, মামলার প্রধান আসামি (১৪) চৌগাছার একটি কওমি মাদ্রাসার ছাত্র। ঘটনার দিন ওই শিশু (১০) মেয়ে শিশুকে আম খাওয়ানোর কথা বলে মাদ্রাসাছাত্রের বাড়িতে ডেকে আনে। এরপর ঘরের ভেতর ধাক্কা দিয়ে মেয়েটিকে ফেলে দেয় এবং বউ বউ খেলার জন্য মাদ্রাসাছাত্রকে বলে। এ সময় ওই শিশু (১০) পাহারা দিয়েছে এবং জানালা দিয়ে সব কিছু দেখেছে বলে ধর্ষণের শিকার মেয়ের জবানবন্দিতে উল্লেখ আছে। ২২ ধারা মতে, গত ২৬ এপ্রিল ধর্ষণের শিকার শিশুর দেওয়া জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। সেই মোতাবেক ধর্ষকের সহযোগী হিসেবে ওই শিশুকে (১০) আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, মামলাটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি, দোষীপত্র দাখিল করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের প্রথম আদালতের বিচারক শাহরিয়ার পারভেজ ধর্ষণের শিকার শিশুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলেও জানান তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন