ধর্ষণে এগিয়ে পৃথিবীর ১০ দেশ
ধর্ষণ জঘন্যতম এই অপরাধের নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলো। হালের রিপোর্ট কিন্তু সে কথাই বলছে। তবে এ কথা ঠিক, অনুন্নত দেশে ধর্ষণের বেশির ভাগ ঘটনাই পুলিশে রিপোর্ট হয় না। তাই অন্ধকারেই চাপা পড়ে থাকে সেই সব অত্যাচার। তবু পৃথিবীর যে ১০ দেশ ধর্ষণ সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে সেই তালিকাটা রীতিমতো চমকে দেয়।
১) দক্ষিণ আফ্রিকা : ধর্ষণের নিরিখে সবচেয়ে ভয়াবহ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিবছর এখানে গড়ে ৫ লাখ ধর্ষণ ঘটে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় এখানেই। ৪০ শতাংশেরও বেশি দক্ষিণ আফ্রিকান নারী তাদের জীবনে কখনো না কখনো ধর্ষিত হন। মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের মতে প্রতি ৯টি ধর্ষণের মধ্যে মাত্র একটির রিপোর্ট লেখানো হয়। তাই আসল সংখ্যাটা আরো বেশি বলে আশঙ্কা।
সুইডেন২) সুইডেন : ধর্ষণের নিরিখে বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে সুইডেন। প্রতি চার সুইডিশ নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হন। ২০১৪ সালে এখানে ৬,৬২০টি ধর্ষণ ঘটেছে। নারীদের জন্য এই দেশকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়।
আমেরিকা৩) আমেরিকা : জর্জ ম্যাসন ইউনিভার্সিটির মতে প্রতি তিন মার্কিন নারীর একজন তাদের জীবনে কখনো না কখনো ধর্ষিত হন। প্রতি ১০৭ সেকেন্ডে এখানে একটি করে ধর্ষণ ঘটনা ঘটে।
৪) ইংল্যান্ড ও ওয়েলস : ইংল্যান্ডের মিনিস্ট্রি অফ জাস্টিসের হিসেব অনুযায়ী ২০১৩ সালে ৮৫,০০০ জন ধর্ষণের শিকার হয়। তার মধ্যে ৭৩,০০০ নারী এবং ১২,০০০ পুরুষ। প্রতিদিন প্রায় ২৩০টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ইন্ডিয়া৫) ইন্ডিয়া : ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ থেকে এ দেশে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধী ৭.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখানে তিনজন ধর্ষিতার মধ্যে একজনের বয়স ১৮-র কম। প্রতি ২০ মিনিটে এখানে একটি করে ধর্ষণ ঘটনা ঘটে।
নিউজিল্যান্ড৬) নিউজিল্যান্ড : ২০১৩ সালে এই দেশে রোস্ট বাস্টার্স কেলেঙ্কারি সামনে আসে। ওয়েস্ট অকল্যান্ডের এক দল যুবক যারা নিজেদের রোস্ট বাস্টার্স হিসেবে পরিচয় দিত, ছোট ছোট মেয়েদের মাদক খাইয়ে তাদের গণধর্ষণ করাই ছিল এদের নেশা। মিনিস্টার অফ জাস্টিস পাবলিকেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি ২ ঘণ্টায় এখানে একটি করে ধর্ষণ ঘটে।
কানাডা৭) কানাডা : উন্নত ও আধুনিক দেশ কানাডা এই তালিকার সাত নম্বরে রয়েছে। হালফিলে অন্য সব হিংস্র অপরাধের মধ্য ধর্ষণের সংখ্যা বেড়েছে বলে উদ্বিগ্ন এখানকার প্রশাসন। হাফিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, প্রতিবছর গড়ে এখানে ৪,৬০০০০ যৌন হয়রানি ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে দাবি যে প্রতি ১০০টি যৌন অত্যাচারের ঘটনায় মাত্র ৩৩টি পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়, ২৯টি ঘটনা সাধারণ অপরাধ হিসেবে রেকর্ড করা হয়। বাকিগুলোর কোনো খবর আসে না।
অস্ট্রেলিয়া৮) অস্ট্রেলিয়া : ২০১২ সালে এখানে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৫১,২০০ নারী ধর্ষণের শিকার হন। অনুযায়ী, প্রতি ছয় অস্ট্রেলীয় নারীর মধ্যে একজন যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।
জিম্বাবুয়ে৯) জিম্বাবুয়ে : তালিকায় নবম স্থানে আছে জিম্বাবুয়ে। এখানে প্রতি ৯০ মিনিটে অন্তত এক নারী ধর্ষিত হন। এখানে প্রতিদিন গড়ে ১৬ নারী ধর্ষণ হয়। তবে সংখ্যাটা আদতে আরো বেশি বলে মনে করা হয়। কারণ অনেক ঘটনারই রিপোর্ট লেখা হয় না।
ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড১০) ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড : ২০১৪ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী ফিনল্যান্ডের ৪৭ শতাংশ নারী শারীরিক বা যৌন হয়রানি শিকার হয়েছেন। ডেনমার্কে এই সংখ্যাটা ৫২ শতাংশ। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে ফিনল্যান্ডই সবচেয়ে পরে (১৯৯৪ সালে) বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ আখ্যা দেয়। ১৫ বছর বয়সের আগেই এখানকার প্রতি ১০ জনের মধ্যে একটি মেয়ে যৌন হয়রানি শিকার হয়, আর প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন ধর্ষিত হন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন