নতুন বছরে বিনিয়োগ বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থমন্ত্রী
নতুন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো বিনিয়োগ বাড়ানো। নতুন বছর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
আজ রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও দুর্বল। এ অবস্থা থেকে আমাদের উন্নতি করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব ভালো ছিল। আশা করছি, ২০১৭ সালও ভালো যাবে।
গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রামীণ বাংক চালু রেখেই ব্যাংকিং খাতে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করতে চায় সরকার। এ জন্য এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিশনকে আমরা কিছু সুপারিশ দিয়েছি। গ্রামীণ ব্যাংকের সাপ্তাহিক কিস্তির প্রথা এখন আর দরকার নেই। কারণ মানুষ কিস্তি দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। দ্রুত বিনিয়োগ তুলে আনতে ও কিস্তি প্রথায় অভ্যস্ত করার জন্যই এই সাপ্তাহিক কিস্তি চালু করা হয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, আমি যখন গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্বে নিয়েছিলাম, তখন ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪০ শতাংশ। এখন তা ৯ থেকে ১০ ভাগে নেমে এসেছে। নতুন বর্ষবরণ ও পুরাতন বর্ষকে বিদায় জানানোর সংস্কৃতি এখনও আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। রাত ৮টার পরই নগরী একটি ডেডসিটি হিসেবে পরিণত হয়। বলেন অর্থমন্ত্রী। বর্ষবরণ প্রথা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ইংরেজি বছরকে আমরা তেমন গুরুত্ব দেই না। অর্থনীতিতে আমরা জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার ফলো করি। এটা খারাপ না। তবে, আমাদের বাংলা ক্যালেন্ডারও অনেক ভালো।
বিনামূল্যে বই বিতরণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ২০১০ সালে আমরা যখন বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করেছিলাম। তখন একটি আর্থিক চাপ ছিল। কিন্তু এখন বই উৎসবের যে আনন্দ তার কাছে ওই চাপ কিছুই না। আনন্দটাই বড় কথা। নতুন বইয়ের গন্ধে শিশুদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়, তা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। আমাদের এই আনন্দ বিতরণের সক্ষমতা আছে। এ কারণেই আমার বিনামূল্যের এ বই উৎসব পালন করে আসছি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূস: নির্বিঘ্নে সব জায়গায় পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এবার দুর্গাপূজারবিস্তারিত পড়ুন
সোমবারের বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
এক কোটিরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাস করেনবিস্তারিত পড়ুন
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৬৪ কোটি ডলার
এ মাসের প্রথম ১৪ দিনে এসেছে ১৬৪ কোটি ৬৭ লাখবিস্তারিত পড়ুন