নতুন বল সামলানোর সক্ষমতার কারণেই সাব্বির
টি-টোয়েন্টিতে প্রশ্নই আসে না। ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি নেই। দুই ফরম্যাটেই সমান তিনটি করে হাফ সেঞ্চুরি। একদিনের ক্রিকেটে ৯৫.১১ স্ট্রাইকরেট আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১২০.৩১ স্ট্রাইকরেটের সাব্বির রহমান রুম্মন তবুও টিম বাংলাদেশের অপরিহার্য্য সদস্য।
হোক ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, রাজশাহীর ২৪ বছরের সাহসী যুবা ও ড্যাশিং উইলোবাজ সাব্বির রহমাম রুম্মন এখন সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে অটেমেটিক চয়েজ। তাকে ছাড়া দুই ফরম্যাটে একাদশ সাজানোর কথা ভাবাই যায় না।
কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের আড়াই বছর পরও (২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে শুরু জাতীয় দলে অভিষেক) টেস্ট দলের বাইরে ছিলেন সাব্বির। এতকাল তার কথা ভাবাই হয়নি।
মাঝে লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকারকে দিয়ে চেষ্টা করানো হয়েছে। লিটন দাস ভারতের বিরুদ্ধে শুরুতে জ্বলে উঠলেও পরে সময় গড়ানোর সাথে সাথে অন্ধকারে তলিয়ে গেছেন। সৌম্যও তথৈবচ। কাজেই নির্বাচকরা বিকল্পের সন্ধানে ছিলেন।
প্র্যাকটিস ম্যাচে সাব্বিরকে এক দলের অধিনায়ক করার মধ্যেই মিলেছিল অন্যরকম ইঙ্গিত। তাকে দলে নেয়ায় অবশেষে সত্য হলো তা। এবারই প্রথম টেস্ট স্কোয়াডে সাব্বির। নির্বাচকদের কথা শুনে মনে হচ্ছে, যে মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট দিয়ে শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার- সেই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই হয়ত টেস্ট অভিষেকও হয়ে যেতে পারে তার।
প্রধান নির্বাচকের কথা-বার্তায় মনে হচ্ছে, সাব্বিরকে এমনি ব্যাকআপ পারফরমার হিসেবে নেয়া হয়নি। তাকে খেলানোর চিন্তা আছে। সম্ভবত সাত নম্বর পজিসনে তাকে খেলানো হবে। নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনাও তাই।
রোববার রাতে কাছে সে কারণ ব্যাখ্যা করে মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘আমাদের টেস্ট স্কোয়াডে এমন একজন ব্যাটসম্যান দরকার, যে সাত নম্বরে খেলতে পারে। ওই জায়গায় একজন সলিড ব্যাটসম্যান প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওসব পজিসনের এমন কাউকে দরকার, যে পেস বলে ভাল খেলতে পারে। আর নতুন বল সামলানোর ক্ষমতা রাখে। কারণ, দেখা যায় সাধারনতঃ সাত নম্বর ব্যাটসম্যান যখন ক্রিজে যায়, তখন দ্বিতীয় নতুন বল নেয়ার সময় হয়ে যায়। তাই আমরা সাব্বিরের কথা ভেবেছি। যেহেতু সে আজ-কাল টি-টোয়েন্টি ও একদিনের খেলায় তিন নম্বরে খেলে খেলে হাত পাকিয়ে ফেলেছে। তার মানে নতুন বল সামলানোর সামর্থ্য তার হয়েছে। কাজেই তাকে আমরা সাত নম্বরে খেলানোর কথা ভাবছি। যদি নতুন বলের মোকাবিলা করতে হয়, তাহলে সাব্বির তা পারবে।’
শুধু প্রধান নির্বাচকই নন। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মুখেও সাব্বির বন্দনা। তার কথা শুনেও মনে হচ্ছে, এ যুবার টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে চট্টলাতেই।
তাই তো কোচের কথা, ‘এখন আমাদের হাতে অনেক অপশন। একটা জায়গার জন্য অনেক খেলোয়াড় থাকা ভালো। তবে সাব্বিরকে নিয়ে আমরা সিরিয়াসলি ভাবছি। আর চিন্তা করছি কিভাবে তাকে একাদশে জায়গা দেওয়া যায়।’
তার মানে সাব্বিরেরও টেস্ট অভিষেকের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। লিটন নেই, এখনও খেলার মতো স্কিল ফিটনেস এখনো আসেনি তার। রিকভারি করেছে ইনজুরি থেকে। গতকাল বা তার আগের দিন ব্যাটিং শুরু করেছে। এখনো শতভাগ ফিট নয়। সে জন্য দ্বিতীয় উইকেট কিপার হিসেবে সোহান।
মুশফিক কিপিং করবেন নাকি সোহান করবেন? সে সম্পর্কে প্রধান নির্বাচক কিছু বললেন না। তিনি বিষয়টা ঠেলে দিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে বলেছেন, ‘দলে আমরা দুজন উইকেট কিপার রেখেছি, কারণ যদি ম্যাচের দিন সকালেও কারও কিছু হয় তখন তো কাউকে লাগবে। এই মূহুর্তে মুশফিকই আমাদের কিপার। সোহান দেশের অন্যতম ভালো কিপার, লিটনও ভালো। তবে সে ইনজুরিতে। সেজন্য সোহান সুযোগ পেয়েছে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন