নদীর মাঝখান থেকে উঠে এলো গির্জা!
ঔপনিবেশক যুগের একটি গির্জা নদীর মাঝ থেকে আবার নির্গত হয়েছে। প্রায় ৪০০ বছর পূর্বের এই গির্জা আবার মেক্সিকোর জল উপেক্ষা করে জেগে উঠেছে।
লিওনেল মেংডোজ়া চিয়াপাস নামের একজন জেলে প্রতিদিন দক্ষিণ মেক্সিকো রাজ্যের বন ও পর্বত দ্বারা বেষ্টিত এই জলাধারে মাছ ধরতে আসেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দেখতে পান যে জলের থেকে নির্গত হওয়া সেই ঔপনিবেশিক যুগের গির্জার দেহাবশেষ দেখতে প্রতিদিন সেখানে পর্যটকদের সমাগম হচ্ছে।
এই বছর সেই জলাধারের মাঝে খরা দেখা দিলে এটি ২৫ মিটার বা ৮২ ফুট অবনমিত হয়। ১৯৬৬ সালে এটি প্লাবিত হয়েছিল। এই নদীর পানি কখনও অনেক উচ্চতায় উঠে যায় আবার কখনও খরা পরে। ২০০২ সালে এখানে এতো বেশি খরার সৃষ্টি হয়েছিল যে, মানুষ হেঁটে এই গির্জাতে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন।
মেংডোজ়া জানান, তিনি এখানে ভ্রমণ করতে আসা পর্যটকের কাছে ভাঁজা মাছ বিক্রয় করেন। যত বেশি পর্যটক আসেন তার ব্যবসার জন্য তত ভাল হয়।
১৬ শতকে এই গির্জা তৈরি করা হয় বলে মনে করা হয়। খ্রিস্টান ভিক্ষু গ্রুপের সন্ন্যাসীদের নেতৃত্বে এই গির্জা তৈরি করা হয় বলে তথ্য পাওয়া যায়। গির্জার দেয়াল ৬১ মিটার লম্বা এবং ১৪ মিটার দীর্ঘ। গির্জার প্রতিটি দেয়ালের উচ্চতা ১০ মিটার।
মাটি থেকে বল টাওয়ার এর উচ্চতা ১৬ মিটার বা ৪৮ ফুট। ১৭৭৩ থেকে ১৭৭৬ সালের মধ্যে একটি মহামারীর কারণে গির্জাটি পরিত্যক্ত করা হয়। স্থপতি কার্লোস এর সাথে মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ এই গির্জা তৈরি করেছিলেন।
১৫৫৪ সালের দিকে আবিষ্কৃত হবার পর এটি বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় বলে জানা যায়। এটি একটি গির্জা হলেও এখানে অনেক মানুষ বসবাস করতে পারবে বলে চিন্তা করা হচ্ছে।–সূত্র: মেট্রো।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন