নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থা দেশে বিভক্তি বাড়াচ্ছে!
নানামুখী শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মাঝে ভিন্ন মানসিকতা তৈরি করছে। শিক্ষাধারার উদ্দেশ্যে যেমন মিল নেই, তেমনি পাঠ্যসূচির মধ্যে আছে তফাৎ। আবার রাষ্ট্র নির্ধারিত ব্যবস্থার বাইরেও পরিচালিত হচ্ছে একাধিক ধারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে জাতির মধ্যে বিভাজন আরো প্রকট হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় অসঙ্গতি আরো বাড়বে।
রাজধানীর মতিঝিলে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ‘জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড’ ঠিক করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী পড়ানো হয়।তবে মোহাম্মদপুরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অনুসরণ করা হয় বিদেশি পাঠ্যসূচি।
এদিকে, কওমী মাদ্রাসায় আরবি-ফার্সি-উর্দুকে প্রাধান্য দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হয়।
আলাদা এমন পাঠ্যসূচির কারণে অবুঝ বয়সেই শিশুরা ভিন্ন উদ্দেশ্যের পেছনে ছুটতে থাকে। এজন্য পরিণত বয়সে এদের মানসিকতায় মিলও পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ব্যুরো অব এডুকেশনাল ইনফরমেশন অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস-ব্যানবেইজে’র তথ্যমতে, দেশে প্রাথমিক শিক্ষায় ২৮ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। তবে উপ ও অনানুষ্ঠানিক বাদ দিয়ে পাঠ্যসূচির আলোকে বিবেচনা করলে এগুলোর মধ্যে ৩টি ধারা স্পষ্ট হয়। প্রথম ধারা সরকার নির্ধারিত পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো সাধারণ স্কুল ও আলিয়া মাদ্রাসা। যার শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় সনদ নিয়ে রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সুযোগ পেয়ে থাকে।
দ্বিতীয় ধারায় কওমী মাদ্রাসা, যেখানে নিজেদের তৈরি পাঠ্যসূচিতে পড়ানো হয়। এ ধারায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। আর সবশেষ ধারাটি ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা কার্যক্রম, যারা কওমী মাদ্রাসার মতোই স্বাধীন। এখানে উঁচু বেতনে বিদেশি কারিকুলামে পড়ানো হলেও এখানেও রাষ্ট্রের কোনো কর্তৃত্ব নেই।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এমন ত্রিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের মধ্যে বিভক্তি বাড়াচ্ছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে এক ও কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের “বি” ইউনিটের (মানবিক বিভাগের) ভর্তিবিস্তারিত পড়ুন

শেকৃবির ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) “আওয়ামীপন্থি” ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তবিস্তারিত পড়ুন

২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
১৭ বছর আগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১,১৩৭ জনের চাকরি ফেরতবিস্তারিত পড়ুন