নানিকে হত্যা করে নাতনিকে বিক্রি!
নানি পুষ্প রানী দাসকে (৪৫) নিজের নাতনি ১৮ মাস বয়সী শিশুকে বিক্রি করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন লিটন কুমার সরকার (২৯)। এজন্য একটি হোটেলে নিয়ে নানি পুষ্পকে হত্যা করেন তিনি। আর নিয়ে যান শিশু মণীষাকে।
এক দম্পতিকে একটি শিশু ব্যবস্থা করে দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন লিটন। এজন্য টাকাও নেন তিনি। আর ওই কারণেই খুন করেন পুষ্প রানীকে আর অপহরণ করেন শিশু মণীষাকে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য দেন ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার (উত্তর) উপকমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম।
গত ১৮ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে পুষ্প রানী দাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
গত ২৪ এপ্রিল কমলাপুর রেলওয়ে এলাকা থেকে আটক করা হয় লিটন কুমার সরকার ওরফে মৃত্যুঞ্জয় ওরফে দুর্জয়কে।
ডিসি শেখ নাজমুল আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন জানিয়েছেন, এক দম্পতিকে শিশু দেওয়ার জন্যই এ কাজ করেন লিটন। আটকের পর লিটনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু মণীষাকে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানাধীন বড়লীদহ গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রশান্ত কুমার দাস ও পান্না দাস দম্পতির কাছে ওই শিশুটি ছিল। পুষ্পকে হত্যার পর ওই দম্পতির কাছেই টাকা বিনিময়ে শিশুটি তুলে দেন লিটন।
লিটন ওই দম্পতির কাছে জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি এতিম সন্তানের ব্যবস্থা করে দেবেন তিনি।
শেখ নাজমুল আলম জানান, লিটনের শ্বশুরের সঙ্গে পুষ্প রানী দাসের বাবার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ওই সূত্র ধরেই পুষ্প রানীর সঙ্গে লিটনের পরিচয়। পুষ্প রানীর মেয়ে যমুনা রানী দাস তাঁর শিশু মণীষা ও স্বামীকে নিয়ে রাজধানীর বাড্ডায় থাকতেন।
কয়েক দিন আগে পুষ্প রানী দাস লিটনের কাছে থেকে কিছু টাকা ধার নেন। এরপর আরেক দফা লিটনের কাছে টাকা চান পুষ্প রানী। ওই সুযোগে নাতনি মণীষাকে বিক্রি করার প্রস্তাব দেন লিটন। তবে ওই প্রস্তাবে রাজি হননি পুষ্প রানী।
তখন লিটন নিজের পরিকল্পনা অনুসারে পুষ্প রানী টাকা ধার দেওয়ার কথা বলে দেওয়ার প্রথমে গাজীপুরে নিয়ে যান লিটন। সেখানে গিয়েও পুষ্প রানীকে নাতনি বিক্রি করার ব্যাপারে চাপ দেন লিটন। এতেও রাজি হননি তিনি।
গত ১৭ এপ্রিল লিটন ও পুষ্প রানী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে উত্তরা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। এরপর রাত ২টার দিকে পুষ্প রানীকে গলা কেটে হত্যার পর নাতনি মণীষাকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যান।
ডিসি শেখ নাজমুল আলম জানান, লিটনকে ছুরি সরবরাহ করে ওই হোটেলের কর্মচারী শাহ আলম (৩৫)।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভয়ংকর অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে মিল্টনের বিরুদ্ধে: ডিবি প্রধান
গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যানবিস্তারিত পড়ুন
দেশের দুই জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে , দেশের দুই জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চবিস্তারিত পড়ুন
হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে ৫ জন নিহত
হবিগঞ্জের মাধবপুরের হরিতলা বাদশা গেইট এলাকায় ট্রাক ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন