নারী ছাড়াই সন্তান জন্ম দিবে পুরুষ!
সন্তান জন্ম দিতে প্রয়োজন নারী ও পুরুষ উভয়ের অংশগ্রহণ। কিন্তু এর বিকল্পও যদি থাকে? যদি নারীর অনুপস্থিতিতে দুই পুরুষের কোষ থেকেই জন্ম নেয় সন্তান তবে কেমন হবে? যদি দুই পুরুষ নিজেরা পরিবার গঠন করতে চান তবে তাদের সন্তান অ্যাডপ্ট করতে হয় অথবা একজন এগ ডোনার বা সারোগেট খুঁজে বের করতে হয়। কিন্তু ভবিষ্যতে এর দরকার হবে না। Cell জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে এই কথা। এর তথ্য মতে, এক সময়ে পুরুষের স্টেম সেল থেকেই উৎপাদন করা যাবে ডিম্বাণু। যার ফলে একটি শিশুর জন্ম হতে পারে দুই পুরুষ থেকেই।
প্রাইমর্ডিয়াল জার্ম সেল বা PGC হলো সেসব স্টেম সেল যারা শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু যে কোনো এক ধরণের কোষ তৈরি করতে সক্ষম। সাধারণত আমাদের শরীর হরমোনাল সিগন্যাল এবং অন্যান্য কিছু ফ্যাক্টরের সাহায্যে ঠিক করে দেয় আমরা ফিমেল জার্ম সেল উৎপাদন করবো নাকি মেল জার্ম সেল। আগামী কয়েক বছরের মাঝে গবেষকেরা শারীরিক এই প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন যার ফলে দুই পুরুষ থেকেই সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব হবে। কি করে এটি সম্ভব হবে? একজন পুরুষের থেকে PGC গ্রহণ করা হবে এবং এর থেকে তৈরি করা হবে “উওসাইট” কোষ। একজন পুরুষের ক্রোমোজোমের X কপিতে যেহেতু মাতৃত্বের সব তথ্যই থাকে সুতরাং এই ডিম্বাণুতে কোনো সমস্যা থাকার কথা না। এরপর অপর পুরুষটির থেকে স্পার্ম স্যাম্পল গ্রহণ করে ওই ডিম্বানুকে নিষিক্ত করা হবে। তবে এই শিশুকে ১০ মাস গর্ভে ধারণ করার জন্য অবশ্য একজন সারোগেটের প্রয়োজন হবে।
এই প্রযুক্তি মানুষের আওতায় আসার আগে অবশ্য বেশ কিছু ধর্মীয় এবং নীতিগত ঝামেলা পার হতে হবে। এই মাত্রা পর্যন্ত মানুষের জেনেটিক মডিফিকেশন করাটা কি আসলে ঠিক হবে কিনা তা ঠিক করে বলা যাচ্ছে না। ইংল্যান্ডে সম্প্রতি বৈধ করা থ্রি প্যারেন্ট IVF পদ্ধতিটির সুবিধা হলো, এর মাধ্যমে বেশ কিছু সম্ভাব্য রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায়। দুই পিতার অংশগ্রহণে এই সন্তান জন্মদানের তেমন কোনো উপকারিতা নেই। এছাড়া যারা সমকামী সম্পর্কের বিরোধী তারা যে এই প্রযুক্তির প্রতি বিমুখী আচরণ দেখাবেন তা নিশ্চিত। তাই এটি কতোটা গ্রহণযোগ্য হবে তা বলা যাচ্ছে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন