নাশকতারোধে নজিরবিহীন নিরাপত্তা
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
বঙ্গভবন, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিবসের নিরাপত্তা বিষয়ে সবগুলো সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মহান স্বাধীনতা দিবসে কোন গোষ্ঠী যাতে নাশকতা চালাতে না পারে, এ জন্য বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকছে। আপদকালীন মুহূর্ত মোকাবেলায় র্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রবেশ পথে থাকছে একাধিক আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর। আশপাশে বসানো হবে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধান বিচারপতি, বিচারকগণ, বিদেশী কূটনীতিক, উধ্বর্তন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
বাড়তি নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ থাকবে যানবাহন চলাচলের ওপর। ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হবে। বসেছ শতাধিক চেকপোস্ট। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও তার আশপাশের স্থান, জাতীয় যাদুঘর, ধানমন্ডির ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি, সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় থাকছে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করবে। সারাদেশেই গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সবগুলো সংস্থাগাকে।
এদিকে ওইদিন বঙ্গভবনের আশপাশে যানবাহন চলাচলে বিধি নিষেধ করা হবে। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, সামরিক ও আধা-সামরিক, দেশী-বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন। আগত অতিথিবৃন্দের যানবাহন সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য বঙ্গভবনের আশপাশ এলাকায় ২৬ মার্চ দুপুর বারোটা থেকে বঙ্গ ভবনের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস হয়ে রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত সকল প্রকার বাণিজ্যিক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আহাদ বক্স থেকে ইত্তেফাক পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আলিকো গ্যাপ থেকে দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ও রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত সকল প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। পার্ক রোর্ডের উত্তর মাথা থেকে ইত্তেফাক অভিমুখী কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না। দৈনিক বাংলা থেকে রাজউক অভিমুখী ও ২৪ তলা ভবন থেকে রাজউক অভিমুখী বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করবে না। শুধু হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী যানবাহনসমূহ নির্ধারিত সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এসব অনুষ্ঠান সন্ধ্যার আগেই শেষ করতেও সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন