না ফেরার দেশে নেই শিশু হাসিনা

ঘুম ভাঙলো না শিশু হাসিনার, চোখ মেলে দেখল না মা-বাবাকে। নির্মম নির্যাতনের শিকার হাসিনা জানাতে পারলো না কে তাকে এমনভাবে মেরেছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার টাউনহল এলাকার একটি বাসার গৃহকর্মী হাসিনা (১১) শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেকের) শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
হাসিনার মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন ঢামেকে ক্যাজুয়ালিটি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মোস্তফা আল মামুন।
২০ মে রাতে অচেতন অবস্থায় শরীফুল নামে এক ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় শিশু হাসিনাকে ঢামেকে ভর্তি করেছিলেন।
ডা. মামুন বলেন, ‘২০ মে অচেতন অবস্থায় ভর্তি ছিল হাসিনা। হাসিনার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছিল। কিন্তু ইন্টারন্যাল ডেমারেজ পাওয়া যায়নি।’
তিনি জানান, হাসিনার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই জানা যাবে, শিশুটি ঠিক কোন কারণে মারা গেছে।
এদিকে আদরের মেয়েকে হারিয়ে বিক্ষুব্ধ বাবা আবদুল সোবহান বলেন, ‘কারা করেছে আমার মেয়ের এমন অবস্থা! আমি তাদের দ্রুত বিচার চাই। আমার মেয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক।’
আবদুল সোবহান ও তার স্ত্রী সালমা বেগম হাসিনার সন্দেহ গৃহকর্ত্রী লিজার দিকে।
সালমা বেগম বলেন, ‘আমার সন্দেহ, লিজা ম্যাডামই আমার মেয়ের এমন অবস্থা করছে।’
লিজাদের বাসায় কাজে নিযুক্ত করলেও সে বাসার গৃহকর্তার নামটি জানা হয়নি তার।
এর আগে হাসিনাকে নির্যাতনের ঘটনায় সালমা বেগম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামালউদ্দিন মীর জানান, মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।
এর আগে লিজাদের বাসায় অভিযানে গিয়েছিলেন মীর। তিনি জানান, বাসাটি তারা তালাবদ্ধ পেয়েছেন। তবে লিজা ও তার স্বামীর ব্যাপারে তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
আমাদের কন্ঠস্বর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের হত্যারবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানী ঢাকায় এক দিনে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন