নিজেদের জমানো টাকায় হাজিদের খাবার ও পানি খাওয়ালো সৌদির ছোট্ট দুই ভাই
বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি সেবামূলক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসছে সৌদি আরবের শিশুরাও। ঠিক এমনই দুই শিশুকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সৌদির প্রভাবশালী পত্রিকা সৌদি গেজেট। মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনে তারা মক্কায় আগত হজপালনকারীদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে।
আলোচিদ এই দুই ভাইয়ের নাম মাজেন আল জাহরানি ও বাসিম আল জাহরানি। বয়স ১০ বছরের কাছাকাছি। সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চল আল বাহা থেকে মা-বাবার সঙ্গে পবিত্র হজ করতে আসে মক্কায়।
হজ পালন করতে এসে হাজিদের সেবার জন্য দুই ভাই মক্কার আজিজিয়া এলাকাকে বেছে নেয়। মিনার কাছে হওয়ায় আজিজিয়াতে প্রচুর হাজি থাকেন। এই সুযোগে দুই শিশু তাদের মা-বাবার সঙ্গে হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের অবসরে উপস্থিত হাজিদের মাঝে হালকা খাবার, পানি ও চা বিতরণ করেন।
তারা জানান, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং সওয়াবের আশায় তারা এ কাজ করে থাকেন। আল্লাহর এ অনুগ্রহপূর্ণ দিনগুলোতে এ কাজ করতে উৎসাহিত করেন তাদের মা-বাবা।
মাজেন ও বাসিম জানান, তারা অল্প অল্প করে টাকা সঞ্চয় করেন। আর সেই টাকা দিয়ে কেনা খাবার, পানি ও চা হজের সময় আগত আল্লাহর মেহমানদের মাঝে বিতরণ করেন।
কেবল তারা দু’জনই নয়, আরও অনেক সৌদি শিশু রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে হজের সময় এ সেবামূলক কাজ করে থাকে। তারা হাজিদের মাঝে খাবার, ফল, পানি ও কোমল পানীয় বিতরণ করে থাকে।
সেবামূলক কাজে শিশুদের উৎসাহিত করতে অনেক মা-বাবা তাদের শিশুদের এসব কিছু সরবরাহ করেন অথবা টাকা দিয়ে থাকেন। এছাড়া সেবামূলক কাজে শিশুদের আগ্রহ বাড়াতে অনেক সংস্থাও এ কাজে এগিয়ে আসে।
হজ করতে আসা জর্ডানের আবু গাইদা বলেন, ‘অনেক শিশুকে মিনায় হাজিদের খাবার এবং জুস দিতে দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। এই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের পূর্ব পুরুষদের ভালো কাজগুলো অব্যাহত রাখবে।– এটা আমার প্রত্যাশ।’
হজ করতে আসা ফিলিস্তিনের ইবরাহিম বলেন, ‘সৌদি আরবের শিশুদের এ সেবামূলক কর্মকাণ্ডে বিস্ময়ের কিছু নেই। তারা সব সময় আল্লাহর মেহমানদের সম্মান দিয়ে থাকে।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন