বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নিজের আব্বুই আমাকে অশ্লীল ভাবে স্পর্শ করে, জোরাজুরি করে…

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণী জানিয়েছেন নিজের অত্যন্ত করুণ সমস্যার কথা। তাঁর বিশাল চিঠি পুরোটাই তুলে দিলাম। “

আপু: আমার নাম টা প্রকাশ করবেন না দয়া করে।

আমি খুব ছোটবেলা থেকে নানুর বাসায় থাকি। আব্বু বেকার ছিল, তাই আমার দাদি আম্মুর সাথে খারাপ ব্যবহার করত। তাই আম্মু নানুর বাসায় এসে পড়ে আমাকে নিয়ে। আব্বু নিজের বাসায় থাকতো, আব্বুর জন্য আম্মু খাবার পাঠিয়ে দিত। দাদির অসুখের সময় আমরা আমাদের বাসায় যেতাম। তখন আমার সমবয়সিী এক ফুপাত ভাইকে ভাল লাগতো। দাদি মারা যাওয়ার পর আমরা আমাদের বাসায় ফিরে যাই। তবু বেশিরভাগ সময় নানুর বাসায় থাকতাম। ক্লাস সেভেনে ওঠার পর মামাদের সাথে ঝগড়া করে আম্মু একবারের জন্য বাসায় এসে পড়ে।আমি আম্মু-আব্বুর সাথে ঘুমাতাম। একদিন রাতে আমি অনুভব করি কেউ আমার গায়ে হাত দিচ্ছে অশ্লীলভাবে। চোখ খুলে দেখি আমার বাবা।আমি ভাবলাম আমি ভুল দেখছি। পরদিন সকালে আমার বাবা বলে কালকে রাতে তোমাকে আদর করছিলাম। আমি ছোট ছিলাম ঠিক কিন্তু এতটুকু বুঝতাম ওইটা আদর ছিলনা। আম্মুকে কিছু বললাম না কষ্ট পাবে এজন্য।

আমি আম্মুর সাথে আলাদা রুমে থাকা শুরু করলাম।আমার ফুপাত ভাইকে আমি বললাম যে আমি তাকে পছন্দ করি। আমাদের প্রেম হয়েছিল কিন্তু কাউকে বলতে মানা করেছিল। কিন্তু বাসায় সবাই জেনে যায়। অনেক সমস্যা হয়। ও আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। আমি একদম ভেঙে পরসিলাম।আমার বাবার এসব করা তারপর ওর আমাকে ছেড়ে দেওয়া এসব নিয়ে। তারপর আমার জীবনে কিছু ভাল বন্ধু-বান্ধবী আসে, জীবনটা ভাল চলছিল। এস এস সি-এর সময় আবার একদিন আমার আব্বু আমাকে সরাসরি জোড় করা শুরু করে।আমি কোনভাবে নিজেকে রক্ষা করি। এস এস সি-এর পর আমি আর আম্মু আবার নানুর বাসায় থাকা শুরু করি। তবে আম্মুকে আমি তখনও কিছু বলিনি। এরপর আমার জীবনে আসে একটা ভাল মানুষ। যে আমাকে অনেক ভালবাসা দেয়। তাকে আমি আমার অতীত সম্পর্কে সব বলি। কিন্তু ও বলল যে বাবা-মা আমাকে মেনে নেবেনা কারণ আমরা সমবয়সী।

সম্পর্কটা ভেঙে যায় কিন্তু যোগাযোগ থেকে যায়। এদিকে পরিবারের সবাই লক্ষ্য করে আমি আমার বাবার সাথে কথা বলিনা। আম্মু আমাকে বলে যে আব্বু নাকি আম্মুকে সব বলছে। ভুল হয়ে গেছে, যাতে আব্বুকে আমি মাফ করে দেই! আমার মামীরাও নিজের বাসা রেখে নানুর বাসায় থাকি বলে অনেক কথা শুনায়। সম্পর্ক ভাঙা, পরিবারের সমস্যা এসব নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পরি। একটা ছেলের সাথে শারিরীক সম্পর্ক হয়ে যায়। কিন্তু আমি অনেক গিলটি ফিল করতে থাকি। আমার ভালবাসার মানুষটাকে সব বলে দেই। ও আমাকে তখন কোন খারাপ কথা বলেনি। আমাকে বুঝছিল। কিছুদিন পর আমাদের ভেঙে যাওয়া সম্পর্কটা জোড়া নেয়। আমি অনেক খুশি ছিলাম। কিন্তু ও আবার আমাকে ছেড়ে চলে যায়। বলে যে ও আমাকে কোনদিন ভালবাসেনি। বলে যে ওর আরেকটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক। আমার বিশ্বাস ও শুধু আমাকে ভালবাসে।আমাকে ভাল না বাসলে এত বড় অপরাধ করার পর আমার সাথে থাকতো না। নিশ্চয় অন্য কোন কারণে আমার কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। এদিকে মামীরা এখন অনেক বাজে ব্যবহার করে আম্মু আর আমার সাথে। আম্মু বলে বাসায় চলে যায়।

কিন্তু আমি আমার বাবার সাথে এক বাসায় কীভাবে থাকব? আমার বয়স এখন ২১। বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। বিয়ের অনেক প্রস্তাব আসে। বিয়ে করে শশুরবাড়ি গেলে পরিবারের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতাম কিন্তু আমি সব প্রস্তাব কোন না কোন কারণ দেখিয়ে মানা করে দেই। কারণ আমি এখন আমার ভালবাসার মানুষটার জন্য অপেক্ষা করছি। ৮ মাস হয়ে গেসে ও যোগাযোগ করেনা। আমার কী করা উচিত এখন?

পরামর্শ: আপু, তোমার বয়সটা অনেক কম। আমার খুবই খারাপ লাগছে যে এত কম বয়সে এত কিছুর মাঝ দিয়ে যেতে হয়েছে তোমাকে। তবে তোমার সততার প্রশংসা করছি যে তুমি মন খুলে সব লিখেছেন। এখন আমি কিছু কথা বলব, হয়তো তোমার ভালো লাগবে না। কিন্তু তারপরও একটু বোঝার চেষ্টা করতে পার। প্রথমত, ভালোবাসার মানুষটির জন্য অপেক্ষা করে লাভ নেই। সে আসলেই তোমাকে ভালোবাসে না। সে তোমার অপরাধ নিয়ে এই কারণেই কিছ বলেনি যে সে একই অপরাধে অপরাধী। তাছাড়া তুমি তাঁকে নিজের ব্যাপারে সব কিছু বলে খুব ভুল করেছ। এই দেশের খুব কম ছেলে এমন অতীতের ব্যাপারটা মেনে নেবে। আমি তোমার আম্মুর কথায় খুবই অবাক হলাম! মা হয়ে তিনি কীভাবে এটা মেনে নেন।

যাই হোক, তুমি চেষ্টা করো কোন হলে বা হোস্টেলে চলে যাওয়ার। মামীর বাসায় বা বাবার বাসায় থাকার প্রয়োজন নেই। পার্ট টাইম জব বা টিউশনি করে হলেও হলে বা মহিলা হোস্টেলে থাক। এই মুহূর্তে তোমার বিয়ে করাও উচিত হবে না। বিয়ে করার অর্থ হবে নতুন ঝামেলা টেনে আনা। একটা জিনিস মনে রাখবে, নিজের মা বাবা বা পরিবার থেকে তুমি কখনো কোন সাহায্য পাবেন না। তাই অবশ্যই আগে লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করো। যত দ্রুত নিজে উপার্জন করবে, তোমার সমস্যা তত দ্রুত দূর হবে। তোমার মানসিক অবস্থা ভালো নেই বুঝতে পারছি। নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য তুমি একজন ভালো মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দিয়ে কাউন্সিলিং করাও। তাহলে নিজের আত্ম বিশ্বাস ফিরে পাবে, বিষণ্ণতা দূর হবে। নাহলে তোমার ভবিষ্যৎ সম্পর্কেও এই অতীত ও মানসিক অবস্থা প্রভাব ফেলবে। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে, স্বনির্ভর হয়ে তবেই বিয়ের কথা ভাববে। খুব দেখেশুনে আর বুঝে বিয়েটা করবে, আবেগের বসে নয়। আর নিজের এই পারিবারিক সমস্যা নিয়ে স্বামীর সাথে কখনো আলোচনা করবে না। একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি নিয়েও নয়। যা হয়েছে ভুলে যাও। নতুন করে জীবন শুরু করো। আর বাবার থেকে দূরে থাক। যদি বাবা (যদিও আমারও বলতে লজ্জা লাগছে এই লোক কারো পিতা) ভবিষ্যতে এমন কিছু আরও করা, সোজা তার নামে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন অপরাধীকে ক্ষমা করা যায় না।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী