নেপালে মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা
বিমসটেকের চতুর্থ সম্মেলনে যোগ দিতে কাল কাঠমান্ডু যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেপালে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে চাপে থাকা মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি এ সম্মেলনে থাকছেন না। তার পরিবর্তে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে এই সম্মেলনে আঞ্চলিক এই জোটভুক্ত সাত দেশের নেতারাও অংশ নেবেন।
বুধবার (২৯ আগস্ট) সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সম্মেলনে জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলেও জানান তিনি। সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মিয়ানমারের নেতার সঙ্গেও অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায়, ৭টি আঞ্চলিক দেশের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শুরু হচ্ছে এই সম্মেলন। এর আগে বাংলাদেশ বিমানের একটি ভি/ভি/আই/পি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশরাফি বিনতে শামস।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হবে হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজায়। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী সেখানেই থাকবেন। শাহরিয়ার আলম বলেন, সম্মেলনের উদ্বোধনে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বাগত বক্তব্যের পরপরই বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সম্মেলনে জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিমসটেক গ্রিড যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং ফৌজদারি ও আইনি বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মরক সই হতে পারে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট বিমসটেকের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে না, কারণ এই জোটের মূল লক্ষ্য হল অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি, এই সম্মেলন থেকে আমাদের একটি বড় অর্জন হবে গ্রিড কানেকটিভিটি নিয়ে এমওইউ। মিয়ানমারসহ সব সদস্য দেশ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একমত হয়েছে।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযানকে যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচনা করছে। এর পর বড় ধরনের আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে মিয়ানমার।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে, শান্তির, সমৃদ্ধির, টেকসই বে অব বেঙ্গলের লক্ষ্যে। বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বা বিমসটেক হল বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাত দেশের একটি জোট। বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড ১৯৯৭ সালে ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগের সূচনা করে। পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান বিমসটেকে যোগ দেয়।
ভৌগলিকভাবে দক্ষিণ এশিয়াকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করেছে বিমসটেক, কাজ করছে সার্ক ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতার একটি সেতুবন্ধ হিসেবে।
এবারের বিমসটেক সম্মেলনের মূল পর্বে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা খুব বেশি না থাকলেও রিট্রিট সেশনে নেতৃবৃন্দের আলোচনায় বিষয়টি আসতেই পারে। একটি যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে সম্মেলনটি শেষ হবে। নেপালের কাছ থেকে বিমসটেক চেয়ারের দায়িত্ব পাবে শ্রীলঙ্কা।
বিমসটেকের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বর্তমানে কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছেন। আর মঙ্গলবার সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
শেখ হাসিনা সফরের প্রথম দিনই নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তার দেয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। রাতে সম্মেলনে আসা নেতাদের সম্মানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শার্মা ওলির দেয়া নৈশভোজেও তিনি যোগ দেবেন। সফর শেষে শুক্রবার দুপুরে দেশে ফেরার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সায়েন্সল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি ঢাকা কলেজের
ঢাকার সায়েন্সল্যাব মোড় এলাকায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূস: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা চাকরিপ্রার্থী তৈরি করে, এটি ত্রুটিপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “মানুষ জন্মগতভাবে উদ্যোক্তা।বিস্তারিত পড়ুন
আইসিটি অধ্যাদেশ অনুমোদন, ধারণ করা যাবে বিচার প্রক্রিয়ার অডিও-ভিডিও
‘‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪’’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনবিস্তারিত পড়ুন