নেশার জন্য গেল বাড়ি-গাড়ি, বউও হারানোর পথে

রাজধানীর তুরাগে নেশার জন্য বাড়ি ও গাড়ি বিক্রি করে সর্বশান্ত মামুন নামে এক ব্যক্তি। এখন তিনি অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। নেশার কারণেই পারিবারিক দ্বন্দ্বে তার বউ সালমাও কেরোসিনের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হন। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
মামুনের বড় ভাই ইমন সরকার জানান, মামুনের তিনটি বাড়ি ছিল। একটি গাড়িও ছিল। কিন্তু নেশাই সব কেড়ে নিল। নেশাগ্রস্ত হয়ে একটি একটি করে বাড়ি বিক্রি করতে শুরু করে সে। সর্বশেষ রানাভোলার প্রধান সড়কের পাশের বাড়িও বিক্রি করে ভিতরের দিকে জায়গা কিনে বাড়ি করে। পরবর্তীতে তাকে ধারদেনা করেই একটি গাড়িও কিনে দেয়া হয়। কিন্তু তাও ধরে রাখতে পারলো না মামুন।
নেশার জন্য তার কোমড়ে সমস্যা হয়। যার ফলে ঠিকমত গাড়িও চালাতে পারতো না সে। অবশেষে গাড়িটিও বিক্রি করে ফেলে। গাড়ি বিক্রির ২০ হাজার টাকা ছাড়া সবই নেশার পিছনে শেষ করে দেয়। তিনি সর্বশেষ বাড়িটিও বিক্রি করে ফেলেছেন। এখন তিনি তুরাগ থানাধীন রানাভোলা এলাকার ৬ নম্বর রোডের জাফর মিয়ার বাড়ির ভারাটিয়া।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় স্ত্রী সালমার কাছে টাকা চায় মামুন। কিন্তু সেই টাকা সে নেশা করতে নিচ্ছে তা বুঝতে পারে সালমা, তাই টা দেয়নি। টাকা না দেয়ার কারণে স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মামুন। এমনকি তাকে মারধরও করে।
আর এ ঘটনায় অপমানিত হয়ে ওই রাতেই আনুমানিক ১২টার দিকে বাথরুমে গিয়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সালমা। পরে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবন্নতি হলে পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
অগ্নিদগ্ধ সালমার ভাই মনির বলেন, ‘সামান্য বিষয় নিয়েই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার বোনকে মারধর করতো মামুন। নেশার টাকার জন্যও প্রায়ই মারধর করতো। তাছাড়াও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মামুন একবার ঘরেও আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়েছিল।’
তিনি অভিযোগ করে জানান, নেশার টাকা না দেয়ার জন্যই মামুন আগুন দিয়ে সালমাকে পুড়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোজাম্মেল হক বাংলামেইলকে জানান, অগ্নিদগ্ধ সালমার শরীরের ৫২ ভাগই পুড়ে গেছে। বর্তমানে তিনি বার্ন ইউনিটে মুমূর্ষু অবস্থায় কাতরাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, তুরাগে নেশার টাকার জন্য গত বুধবার রাত ১২টার দিকে পারিবারিক দ্বন্দ্বে অগ্নিদগ্ধ হন সালমা নামে এক গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ওজন কমাতে যা খাওয়া যেতে পারে
আমাদের রান্নাঘরে খাবার তৈরির অনেক পণ্য থাকে। সেই সবে এমনবিস্তারিত পড়ুন

১ ঘণ্টার পুডিং তৈরি করুন মাত্র ১০ মিনিটে!
ডিম ফেটানো, দুধ জ্বাল দেয়া ইত্যাদি পুডিং তৈরির প্রস্তুতির কথাবিস্তারিত পড়ুন

ইফতারে নিজেই বানান মুখরোচক হায়দরাবাদি হালিম
আমাদের দেশে হালিম জনপ্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে রমজানে তোবিস্তারিত পড়ুন