নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যান স্কুলছাত্রীকে নির্যাতন..!!
আশ্রাফুল তানজিল, নোয়াখালীঃ– নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলায় রাবেয়া বেগম(১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য সালিশে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই তাকে স্থানীয় চরজব্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার সময় রাবেয়ার বাবা মো: হানিফ(৫০), মা খতিজা খাতুন (৪০), খালা শামছুর নাহার(৩৫)কেও পিটিয়ে আহত করে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন।
নির্যাতিত রাবেয়া উপজেলার ২ নম্বর চরবাটা ইউপির মধ্যচরবাটা গ্রামের ছায়েদুল হকের বাড়ির দিনমজুর মো: হানিফের মেয়ে। সে চরবাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ছাত্রী।
এ বিষয়ে আহত রাবেয়ার বাবা মো: হানিফ জানায়, গত কয়েক মাস ধরে একই বাড়ির হাসানের পরিবারে সাথে পারিবারিক ঝগড়া-বিবাধ চলছে । এ নিয়ে হাসান গ্রাম্য শালিসে তার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান পরিষদে আমার পরিবারের সবাইকে শালিসে উপস্থিত হতে বলে। শালিসে উপস্থিত হওয়া মাত্রই আমাকে ও আমার স্ত্রী এবং শালিকাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার পর আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে চৌকিদার দিয়ে বাড়ি থেকে ধরে এনে পরিষদে উপস্থিত শত শত লোকের সামনে পিটিয়ে আহত করলে সে এক পযার্য়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ সময় রাবেয়ার চিৎকারে কোন লোক এগিয়ে আসেনি। রাত ১০টার সময় চেয়ারম্যন পরিষদ থেকে চলে যাওয়ার পর আমি আমার মেয়ে, স্ত্রী ও শালিকাকে নিয়ে চরজব্বর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিই। মেয়ে রাবেয়াকে রাতে সেখানে ভর্তি করাই। এ ঘটনায় যাতে কোন মামলা করা না হয় সেজন্য চেয়ারম্যান নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে তাই আমি এখন মামলা করতে ভয় পাচ্ছি।
মা খতিজা খাতুন বলেন, চেয়ারম্যানের পায়ে ধরে চিৎকার করার পরও চেয়ারম্যান আমার স্কুল পড়ুয়া ছোট মেয়েকে ছেড়ে দেয়নি। এ ঘটনায় সরকারের কাছে উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে শালিস বৈঠকে স্কুলছাত্রীকে মারধরের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন জানান, তিনি এ ধরনের কোন শালিস বৈঠক করেননি। মারধর করার প্রশ্নই উঠে না।
চরজব্বর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার আবদুর রহিম জানান, রাতে তাকে(রাবেয়া) ভর্তি করা হয়। মেয়েটির মাজায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। বর্তমানে সে মহিলা ওয়ার্ডের ১২নং শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে তার নিকট কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি জেলা শহরে ডিআইজি স্যারের সাথে সভায় আছেন। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নোয়াখালীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সতের বছর বয়সী এক কিশোরীকেবিস্তারিত পড়ুন
ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী এখন ভিক্ষুকের শহরে পরিণত হয়েছে। যদিওবিস্তারিত পড়ুন
নোয়াখালীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ
পেট্রলবোমা হামলার মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাবিস্তারিত পড়ুন