পতিতাদের মৃত্যুর পর তাদের লাশ কি করা হয়?
পতিতাদের করুণ অবস্থা নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও তাদের মৃত্যু পরবর্তী সৎকার ব্যবস্থা নিয়ে বলতে গেলে কোনো লেখালেখিই হয়না। এই দিকটা নিয়ে কারোই যেনো কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রায় সব ধর্ম মতেই, পতিতারা নিষিদ্ধ। অপবিত্রতায় ভরা তাদের জীবন। সারাজীবন তারা যে পরিমাণ লাঞ্চনা সহ্য করে, তারচেয়ে আরো কয়েকগুণ বেশি লাঞ্ছনা পায় মৃত্যুর পরে !
অধিকাংশ পতিতা বিভিন্ন যৌন রোগে আক্রান্ত হয়েই মারা যায়। বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মরতে হয় তাদের। পতিতাদের প্রতি যৌন অনুভুতি থাকলেও থাকেনা কারো মনে কোনোপ্রকার মানবতা। আজপর্যন্ত তেমন কোনো ইতিহাস নেই যে কেউ কোনো পতিতাকে বিয়ে করে সুন্দর একটি জীবন উপহার দিয়েছে। নানারকম লাঞ্ছনা ও ধিক্কার মধ্য দিয়েই জীবন পার করতে হয় তাদের।
পতিতাদের কোনো দাফন কাফনও হয়না। পড়া হয়না জানাজার নামাজ। কোনো কবরস্থানেই তাদেরকে দাফন করতে দেওয়া হয়না। তাদের জন্য করা হয়না মিলাদ বা দোয়া। এমনকি চল্লিশার অনুষ্ঠান থেকেও বঞ্চিত হয় মৃত পতিতারা। পতিতালয়ের এক কোণে বা আশেপাশের বাগানে লুকিয়েই মাটি চাপা দেওয়া হয় অধিকাংশ সময়।
সনাতনধর্ম সহ অন্যান্য ধর্ম মতেও তাদের সৎকার করা হয়না। সব ধর্মেই তারা অস্পৃশ্য। মৃত্যুর পর বস্তা বন্দি করে তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়ার ঘটনা অহরহ !
মানবাধিকার সংস্থাগুলো পতিতাদেরকে “পতিতা” না ডেকে যৌনকর্মী বলে ডাকা পর্যন্তই কাজ করেছে। কিন্তু তাদের দাফন-কাফন বা সৎকার নিয়ে কেউ কিছু করেনি আজও। কবে পড়া শুরু হবে তাদের জানাজা? কবে হবে তাদের চল্লিশার অনুষ্ঠান? কিংবা তাদের জন্য শ্রাদ্ধের আয়োজন? নাকি এভাবেই বস্তা বন্দি করে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে তাদের লাশ? এভাবে আর কত?
কোনোদিনই কি এপিটাফ তৈরি হবেনা পতিতাদের জন্য?
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন