পতিতাসহ পুলিশের উপ-পরিদর্শক ধরা পড়লো !
কুমিল্লা বুড়িচং থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক সাইফুল আলম থানার পাশে ডাকবাংলোতে পতিতা নিয়ে ফূর্তি করা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করেন।
স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানায়, বুড়িচং থানার এসআই উপপরিদর্শক সাইফুল আলম থানার পাশে জেলা পরিষদের নির্মিত বিলাস বহুল ডাকবাংলোতে প্রায় সময় থানায় তার নিজস্ব বিছানায় না থেকে রাত যাপন করতো। ডাকবাংলোর পাহাড়াদার হিসেবে ইকবাল নামের এক ব্যক্তি নিয়োজিত । ইকবাল প্রায় সময় এসআই সাইফুল সহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষকে টাকার বিনিময়ে যুবতী মেয়ে এনে দিতো ফুর্তি করার জন্য।
ইকবালের শালিকেও এনে দেয় ডাকবাংলোতে। স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ঘটনাটি জানালে পরে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৭ টায় নির্বাহী কর্মকর্তা তার অফিসের সহকারী জামাল হোসেন, ফারুক হোসেন ,স্থানীয় লোকজন সহ সাংবাদিক নিয়ে ডাকবাংলোতে যায়। দুর থেকে দেখতে পায় এক যুবতী মেয়ে ডাকবাংলোতে ঢুকছে।
তখন তারা গিয়ে কলাপসিবলের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনকে বিষয়টি জানায়। ভিতর থেকে নাইটগার্ড ইকবাল ,যুবতী বিলকিস আক্তার ও এসআই সাইফুল ইসলাম নীচে নেমে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজেই আসেন ঘটনাস্থলে। নিয়ে যায় ৩ জনকে তার অফিস কক্ষে। মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বলেছে বিলকিস দারোগার কাছে তার ব্যক্তিগত কাজে এসেছে দুলাভাই ইকবালের সহযোগীতায়,পরে নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের বক্তব্য শুনে মোচলেকা রেখে ৩ জনকে ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম নাজিম উদ্দিন বলেন, সবাইকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। এটা নিয়ে এত বিতর্ক কেন। তিনি আরো বলেন, মেয়েটি নাইটগার্ড ইকবালের কাছে প্রায় সময় আসতো। এনিয়ে আর কোন বিতর্ক করার প্রয়োজন নেই। বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) উত্তম বড়ুয়া বলেন, এরকম ঘটনা আমার জানা নেই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
কুড়িগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় ২ লাখ মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে টানা ৬ দিন বন্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। মানুষজনবিস্তারিত পড়ুন
চালু হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট
প্রায় সাড়ে চার বছর পর আগামী ২৯ জুলাই থেকে চালুবিস্তারিত পড়ুন
রায়পুরায় বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে, ঘরের ছেলে ঘরেবিস্তারিত পড়ুন