নতুন কারাগার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী
পরিবেশ দূষণ করবে না কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন যে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরিবেশ দূষণ হবে না বলে। তিনি বলেন, বিশ্বের বড় বড় সব দেশেই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধী একটি গোষ্ঠী উদ্ভট নানা কথা ছড়িয়ে এই ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করে আসছেন।
ঢাকার উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন। কারাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হলেও আলোচনা সভায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, ভবিষ্যত পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধীতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়লা দিয়ে পানি বিশুদ্ধ করার ফিল্টার ব্যবহার করা হয়। তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করলে কয়লা কেন দূষণ করবে?’। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে উদ্ভট কথা বলা হচ্ছে। জানি না উদ্দেশ্য কী? দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মানুষকে স্বস্তি দিয়েছি, সেখানে বাধা দেয়ার চেষ্টা চলছে’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দিনাজপুরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয়েছে। এখন সেখানে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে, আরও একটির নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে তো দূষণ হয়নি। গাছ হচ্ছে, ফসল ফলছে, বরং মাটিতে উর্বরতা আরও বেড়েছে’।
কারাজীবন শাস্তি দেয়ার জন্য নয়, জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগার হওয়া উচিত সংশোধনাগার। এ জন্য কারাগারে নানা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, মজুরির বিনিময়ে কাজ, বিনোদনসহ নানা সুযোগ সুবিধা রাখতে কারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে এই কারাগারের সব ভবনে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশ দেন তিনি।
ঢাকার নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ১৬ শয্যার হাসপাতালটিকে দুই থেকে আড়াইশ শয্যার করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, কেবল বন্দীরা নয়, এই প্রতিষ্ঠানে আশেপাশের এলাকার মানুষরাও যেন চিকিৎসা সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কারাগারে অর্ধেক অপরাধী হিসেবে ঢুকে একেকজন পূর্ণাঙ্গ অপরাধী হিসেবে বের হয়ে আসে। কারণ কীভাবে আরও অপরাধ করতে হয়, সে প্রশিক্ষণটা এখানেই পেয়ে যায় তারা। কিন্তু কারাগার হওয়া উচিত সংশোধনাগার। বন্দীদের জন্য এখানে উৎপাদনমুখী প্রশিক্ষণ চালু হবে। পরিবারের সদস্যরাও যেন তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।… এখন মোবাইল ফোনের যুগ, চুরি করেও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনেকে। কিন্তু কারাগারে যদি পর্যাপ্ত ল্যান্ডফোন থাকে তাহলে বন্দীরা সপ্তাহে অন্তত একবার তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। এটা মানবিক দিক থেকে করা উচিত। দীর্ঘদিন আপনজন না দেখার কষ্ট কিছুটা হলেও ভুলবে তারা’।
কেবল কেন্দ্রীয় কারাগার নয়, বর্তমান সরকার কেরানীগঞ্জের উন্নয়নে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে এই এলাকায় আরও উন্নয়ন হবে। এখানকার মানুষ রেলের সুবিধা পাবে।
কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগ সুবিধাও বাড়ানোর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘তাদের সমস্যাগুলো আমাদের জানা, যথেষ্ট ব্যবস্থাই নেবো’।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন