পরীক্ষার খাতা ভিজে যায় অশ্রুজলে
বাবার স্বপ্নপূরণে পড়াশোনাই হাতিয়ার। তাই বাবার মৃত্যুর পরও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল মেয়ে। চোখের জলে বাবাকে বিদায় জানালেন ঠিকই, সঙ্গে শপথও নিলেন স্বপ্নের আকাশে সওয়ার হওয়ার। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ করতে হলে পড়াশুনাই যে একমাত্র হাতিয়ার তা বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল ভারতের বীরভূমের মুর্শিদাবাদ সীমানা লাগোয়া মুরারই থানার মিত্রপুর গ্রামের কাজিপাড়ার শবনম খাতুন।
বাবা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হেড কনস্টেবল। গত ৩০ জানুয়ারি পাঞ্জাবে কর্মক্ষেত্রে রহস্যজনক মৃত্যু হয় বাবার। মঙ্গলবারই মরদেহ আনা হয় বাড়িতে। বাবার মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিতে যায় শবনম।
জি নিউজ জানিয়েছে, শবনমের বাবা সামসউদ্দিন মানসিক অবসাদ থেকে নিজের নাইন এমএম সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে বিএসএফ দাবি করেছে। যদিও ময়না-তদন্তে জানা গেছে, ওই জওয়ানের দেহে কমপক্ষে ১১টি গুলির ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। মৃত জওয়ানের পরিবারের প্রশ্ন, কেউ কি নিজেকে এগারোটি গুলি করে আত্মঘাতী হতে পারে?
পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে ফোন করে বাবার আশীর্বাদ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল শবনমের। উল্টো বাবার নিথর দেহ বাড়িতে প্রবেশের মুখেই বুকে পাথর চাপা দিয়ে মেয়ে ছুটল গ্রাম ছাড়িয়ে পাইকর হাইস্কুলের পরীক্ষাকেন্দ্রে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন