পাকিস্তানে হিন্দু বিয়ের আইন নেই! কিন্তু কেন?
পাকিস্তানে হিন্দু বিয়ের কোনো আইন নেই। এ কারণে পাকিস্তানে বসবাস করা কয়েক লাখ হিন্দু বিশেষ করে হিন্দু নারীরা নানা রকম সামাজিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
পাকিস্তানে হিন্দুদের বিয়ে সনাতন প্রথা মেনে হয়। কিন্তু ভারত অনেক আগে বিয়ের আইন তৈরি করেছে, যা বিয়ের পর নারী-পুরুষ ও তাদের সন্তানদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অধিকার পেতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু পাকিস্তানে তা নেই।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ডনের ‘হিন্দু বিয়ে আইন’ শীর্ষক এক সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দলের রাজনীতিকরা যখন তখন সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে উচ্চবাচ্য করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা বাস্তবায়নের বেলায় তারা উন্ন্যাসিক থাকেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার কয়েক দশক পার হলেও হিন্দু বিয়ে আইন ইস্যু হয়ে আছে কিন্তু কোনো আইনি সমাধান আজো হয়নি।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, দাপ্তরিক কোনো প্রয়োজনে হিন্দু নারীরা তাদের স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক দেখাতে সমস্যার সম্মুখীন হন। বিধবারা এক্ষেত্রে বেশি বঞ্চিত হন।
স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর বৈধ সম্পর্ক দেখিয়ে কাগজপত্র সরবরাহ করতে না পারায় হিন্দু নারীরা ব্যাংক হিসাব খুলতে এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে ভীষণ সমস্যায় পড়েন। একই কারণে ভিসা পাওয়া ও অন্য দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া তাদের জন্য সম্ভব হয় না। কোনো দালিলিক প্রমাণ ছাড়াই দেবতাকে স্বাক্ষী রেখে বিয়ে করার কারণে যেনম রাষ্ট্রের সুবিধা থেকে তেমনি পারিবারিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পাকিস্তানের হিন্দু নারীরা।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু বিয়ে আইন কার্যকরের নির্দেশ দিলেও সংসদ সদস্যরা বিলটি পার্লামান্টে পাস করাতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। কিন্তু আইন পাস না হওয়ায় পাকিস্তানে হিন্দু নারী এবং তাদের ছেলেমেয়েরা বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন