পাক হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহবান
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে বাঙালিদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্র সত্তা ফিরে পাওয়ার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় ডিসেম্বর মাসে মিত্র বাহিনীর রণকৌশলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনী। সেনানিবাসে ফিরে যায় হানাদার বাহিনীর কতিপয় সেনা আর অন্যরা আত্মসমর্পণ করে।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন ভাষায় হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের বাণী ও লিফলেট প্রকাশ করে আকাশে ছড়িয়ে দেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ। পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করলে তাদের প্রতি জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থানরত সেনাসদস্যদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা। এই দিনে সম্পূর্ণরূপে হানাদারমুক্ত হয় মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, বরিশাল।
এ ছাড়াও কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামের মীরসরাই, কুষ্টিয়ার মিরপুর, ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়।
কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা মিত্রবাহিনী জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী, দলীয় পতাকা এবং কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক অ্যাডভোকেট আহমদ আলী।
মীরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় ১৭০ মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে গান ও স্যালুটের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আহা চিকুনগুনিয়া !
ঈদের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে মেঝেতে পা দিয়ে আমিবিস্তারিত পড়ুন
‘দৃষ্টিশক্তি থাকা, কিন্তু জীবনে লক্ষ্য না থাকা অন্ধত্বের চেয়েও খারাপ’
চক্ষু, কর্ন, জিহবা, নাসিকা, ত্বক – মানুষের এই পাঁচটি ইন্দ্রিয়েরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষিতা মেয়েটির গল্প
পারিনি সেদিন নিজেকে শোষকদের হাত থেকে রক্ষা করতে, পারিনি সেদিনবিস্তারিত পড়ুন