পাখি প্রেমিক হায়দার মাস্টার
মানুষ ও পাখির মধ্যে বিরল বন্ধুত্ব সৃষ্টি করেছেন রায়গঞ্জের পাখি প্রেমিক হায়দার আলী মাস্টার। তার পোষ মানানো পাখিদের নাম ধরে ডাকলেই কাছে আসে। ইশারা বুঝে কাঁধে বসে, হাতে বসে। পকেট থেকে খাবার তুলে খায় বাধ্য মানব শিশুর মত। ভালবাসা, শাসন, আদর, সবই যেন বোঝে মানুষের মত।
সরেজমিনে উপজেলার নলকা ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার চর গ্রামের আফজাল আকন্দের ছেলে হায়দার আলী গ্রামের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। শৈশবকাল থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি পশু-পাখি লালন-পালন করতেন। তিনি পশু-পাখিকে এমনভাবে আদর যত্ম করেন যে কোন পশু-পাখি তার পরিচর্যা ও ভালবাসার ছোঁয়া পেলে আর বনে ফিরতে চায় না। এ কারণে এলাকার লোকেরা তাকে ‘পাখি-বাবা’, ‘পাখি প্রেমিক’ হায়দার মাস্টার বলে ডাকে। মৌমাছি পালন করে মধু সংগ্রহ করাও ছিল তার শখের একটি অংশ।
তার বাড়িতে পশু-পাখিকে খাঁচায় রাখতে হয় না। সকালের নাস্তা সেরে টিয়াপাখিগুলি উড়ে বেড়িয়ে দুপুরে বাসায় ফিরে পানি, খাদ্য খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়। তারপর বিকালে বাইরে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় ঘরে ফেরে এ সব টিয়া পাখি। বাড়ি ঘরের বিভিন্ন স্থানে ওরা স্বাধীনভাবে থাকে। বড় টিয়া পাখিকে ‘পীর বাবাজি’ তার ছোটটিকে ‘শাহজাদা’ তৃতীয়টিকে ‘রাণীজি’আর সবচয়ে ছোট টিয়াকে ‘টুনি’ বলে জোরে ডাকলেই তারা উড়ে এসে মাস্টারের কাঁধে, মাথায় ও হাতের উপর এসে বসে। হাতে ও পকেটে থাকা খাবার খায়। আবার চলে যেতে বললেই উড়ে চলে যায়।
হায়দার আলী মাস্টার বলেন- বন্যপ্রাণি নিধন করা, আটক রাখা বেইআইনি ও শাস্তিমূলক অপরাধ। তাই আমি ওদের আটক রাখিনা। খাবার সময় হলে ওরা আসে। খাবার খেয়ে চলে যায়। কেউ যেন পাখি শিকার না করে এ ব্যাপারে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রচার প্রচারণা করে থাকেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন