বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

তারুণ্যের সংবাদ মাধ্যম

পাতাহীন এক ধরনের ভয়ংকর মৃত্যুগাছ এর ইতিহাস!

সোমালিয়ায় পাতাহীন এক ধরনের গাছ দেখতে পাওয়া যায়। বছরের বারো মাসের মধ্যে কখনোই এই গাছে পাতা হয় না। এমনকি প্রচণ্ড বৃষ্টির মৌসুমেও এই গাছে পাওয়া যাবে না একটি পাতা। এই গাছগুলো যেখানে জন্মায় তার চারপাশে অন্য কোনো গাছ জন্মাতে পারে না।

প্রায় সাত ফুট উচ্চতা নিয়ে শুষ্ক মাটির বুকে দিব্যি দাড়িয়ে আছে গাছগুলো। সোমালিয়ার যে অঞ্চলে এই গাছগুলো জন্মায়, সেই অঞ্চলটি মূলত শুষ্ক পরিবেশ আর পাথুরে ভূমির জন্য পরিচিত। প্রাকৃতিক এই বৈরি অবস্থা এবং পাতাহীন বৃক্ষের এই অঞ্চল থেকে প্রায় প্রতিদিনই মানুষ পালিয়ে অন্য কোনো অঞ্চলে চলে যায়।

প্রায় প্রত্যেক সোমালীই এই গাছ সম্পর্কে জানে। স্থানীয়রা এই গাছটির নাম দিয়েছে ‘মৃত্যু বৃক্ষ’। শুধু গাছটিকে নামাঙ্কিত করেই ক্ষান্ত দেয়নি নীরিহ সোমালীরা, দেশটির সবচেয়ে ভয়ংকর গাছ হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে গাছটিকে। এই পাতাহীন গাছ মূলত সোমালিয়ার পুন্তল্যান্ড অঞ্চলের বোসাও শহরে জন্মায়।

দেশটির এই প্রান্তে যদি কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাহলে প্রথমেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ওই গাছের সঙ্গে বাধা হয়। অভিযুক্তের হাত গাছটির পেছনে বেধে এরপর গুলি করে হত্যা করা হয়।

কেউ জানে না, কখন এবং কে এই গাছ লাগিয়েছিলেন। কিন্তু এখন এই গাছটিকে সোমালিয়ায় অভিশপ্ত গাছ হিসেবেই ধরা হয়। অগুনতি মানুষের রক্তের দাগ লেগে আছে এই গাছেদের শরীরে। যে কারণে সোমালিয়ার বয়স্ক ব্যক্তিরা এই গাছটিকে রক্তপিপাসু গাছ বলেও অভিহিত করেন।

পুন্তল্যান্ড অঞ্চলের কবরস্থানগুলোতে প্রায়শই এই অভিশপ্ত গাছটি দেখা যায়। এই গাছের সঙ্গে মানুষকে গুলি করে হত্যা করার সময় গাছের শরীরে গুলির গর্ত থেকে যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, পরবর্তী সময়ে ওই গর্তগুলো থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত বের হয়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই গাছটি যদি একটাই অভিশপ্ত হয় তাহলে গ্রামবাসীরা কেন এই গাছটিকে কেটে ফেলছে না। কারণ এই গাছটির সঙ্গে সোমালিয়ার অনেক পরিবারেরই কষ্টকর স্মৃতি রয়েছে। অনেকেরই ইচ্ছা এই গাছকে কেটে ফেলা কিংবা কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা।

কিন্তু যে গাছে প্রিয় মানুষগুলোর রক্ত লেগে আছে সেই গাছকে কে কাটবে বা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবে। তাই কেউই সাহস করে ওই গাছ কাটতে যায় না, এমনকি অনেক টাকার প্রলোভন দেখিয়েও এই গাছ কাটানো যায়নি।

কবরস্থানের গোরখোরেরা রাত করে ওই কবরস্থানেই ঘুমায়। রাত করে যাতে কেউ অবৈধ উপায়ে লাশ কবর দিতে না পারে এবং জীবিত কেউ যেন কবরস্থানের ওই গাছটির কাছে আসতে না পারে সেটা নিশ্চিত করাও ওই গোরখোরদের কাজ।

মধ্যবয়সী একজন গোরখোর জানান, ‘একমাত্র উন্মাদ বা পাগল হলেই কেউ ওই গাছের তলায় আশ্রয় নিতে পারে। আমি রোদে পুড়ে মারা যাবো কিন্তু ওই গাছের নিচে যাবো না। শতাধিক মানুষকে ওই গাছের সঙ্গে বেধে হত্যা করা হয়েছে।’

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন  

চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন

চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস

 শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন

ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন

  • স্বাধীনতার জন্য সিরাজুল আলম খান জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিল
  • ৫৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০৬ জনকে সম্মাননা দিল ‘আমরা একাত্তর’
  • হাতিয়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
  • ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ সদস্য
  • শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
  • চলে গেলেন হায়দার আকবর খান রনো
  • গফরগাঁওয়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষক শামছুন নাহার
  • ‘ও আল্লাহ আমার ইকবালরে কই নিয়ে গেলা’
  • ভিক্ষুকে সয়লাভ নোয়াখালীর শহর
  • কঠিন রোগে ভুগছেন হিনা খান, চাইলেন ভক্তদের সাহায্য
  • কান্না জড়িত কন্ঠে কুড়িগ্রামে পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল
  • অজানা গল্পঃ গহীন অরণ্যে এক সংগ্রামী নারী