“পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন,১৯০০” গ্রন্থের ইংরেজী ও বাংলা ২য় সংস্করণ -এর মোড়ক উন্মোচন”
সুপ্রিয় চাকমা শুভ, রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি :
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলায় ভূমি সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়াস এগিয়ে নিতে এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও রাঙ্গামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির যৌথ উদ্যাগে “পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন,১৯০০” শীর্ষক গ্রন্থের ইংরেজী (২য়) সংস্করণ ও বাংলা সংস্করণ দুটি গ্রন্থ প্রকাশের জন্য আজ ১২ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার ১০ ঘটিকার সময়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা হয়। এবং “The Chittagong Hill Tract Regulation,1900”, “পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন,১৯০০” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মো: নিজামূল হক।
প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মো: নিজামুল হক।
বিশেষ সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মো: রুহুল কুদ্দুস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আর ও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জেড.আই.খান পান্না।
গ্রন্থের সম্পাদক চাকমা সার্কেল চীফ, চাকমা সার্কেল ও সদস্য পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও প্রকাশনা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা( সন্তু লারমা) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি, বান্দরবান জেলার আইনজীবি সহ অন্যান্য প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশনা উৎসবে প্রকাশনীর সম্পাদক হিসেবে এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীয় রায় বলেন- বাংলাদেশ তথা পার্বত্য অঞ্চলে আদিবাসী প্রতিবন্ধী,পিছিয়ে পড়া নিরীহ মানুষের দুঃখ- কষ্ঠ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট ও প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ বিচার ক্ষেত্রে যে রায় প্রদান করেন তার জন্য বাংলাদেশের মানুষের কাছে অতুলনীয়।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বলেন- পার্বত্য অঞ্চলে তথা বাংলাদেশে কোন আইনে কোন আইন প্রনয়ন করতে হবে সেসব গুলো গ্রন্থের অনেকটা সহায়ক হবে বলে মনি করি। আর সেজন্য এই গ্রন্থ প্রনয়নে সরকার যথেষ্ট সম্মতি প্রকাশ করছে।
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে সার্বজনীন ৪৩তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান সম্পন্ন
প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মো: নিজামুল হক বলেন- জাজমেন্ট গুলো সঠিকভাবে কমপাই করুন, এই জাজমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে করতে পারলে পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণ জনগণ অনেক উপকার লাভ করবে।
প্রকাশনার উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য শান্তিচুক্তি যথাযত ভাবে বাস্তবায়ন হলে বিচার বিভাগের ক্ষেত্রে যে অসংহতি ও দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো আমরা যথাযত ভাবে সংশোধন করতে পারব বলে বিশ্বাস রাখি। পার্বত্য অঞ্চলে যে বাস্তবতা হল এখানে সেনাশাসন, সেনা কর্তৃত্ব ও গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতা।
এছাড়া প্রকাশনা উৎসবে আর ও বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান- এ্যাডভোকেট জেড.আই.খান পান্না, রাঙ্গামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি- এ্যাডভোকেট প্রতিম রায় পাম্পু প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সাজেকে ডাম্প ট্রাক উল্টে ৬ শ্রমিক নিহত
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে শিজকছড়া-উদয়পুর সীমান্ত সড়কের ৯০ ডিগ্রিবিস্তারিত পড়ুন
ভূমিধসে তিন সন্তানকেই হারালো যে দম্পতি
বান্দরবান শহর থেকে দুতিন কিলোমিটার দূরবর্তী এক পাহাড়ী গ্রাম লিমুভিরি।বিস্তারিত পড়ুন
৫ জুন রাঙামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ
শুক্রবার রাঙামাটির লংগদুতে এক যুবলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনার জের ধরেবিস্তারিত পড়ুন