পা ছাড়াই অন্তর্বাস তারকা!
জন্মেছেন পা ছাড়াই। জন্মের এক সপ্তাহ পরই বাবা-মা তাকে অনিশ্চয়তার সাগরে ফেলে পালিয়ে যান। তারপর অনাথ আশ্রমে দিন কাটে কন্যাশিশুটির। পাঁচ বছর বয়সে এক দম্পতি তাকে দত্তক নেন। নিয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর শুধুই বেড়ে ওঠা। দৃঢ় মনোবল। নিজের প্রতি আস্থা অটুট। আর এ গুণ দিয়েই বিশ্বজয়।
এ কল্পগল্প নয়। বিশ্বজয়া এ মেয়েটির নাম কন্যা সেসর। আজ তিনি নারীদের অন্তর্বাসের সুপার মডেল। শুধু মডেলই নয়, তিনি স্কেটিংয়েও দক্ষ। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত শীতকালীন প্যারাঅলিম্পিকসের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেসর।
সেসর জানেন মনোবলকে হাতিয়ার করে কীভাবে প্রতিবন্ধতাকে জয় করতে হয়। চমকে দিতে হয় সবাইকে। আত্মবিশ্বাসী এই নারী বললেন, ‘পা ছাড়াও আমি যথেষ্ট আবেদনময়ী।’
২৩ বছরের মেয়ে সেসরের জন্ম থাইল্যান্ডে। জন্মের পরবর্তী ইতিহাস করুণ, হৃদয়বিদারক হলেও তা ভেবে কখনো মুষড়ে পড়েননি তিনি। এখন নারীদের অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপন করে দিনে ১ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন তিনি।
নিজের প্রতিবন্ধকতার জন্য এতটুকু অনুশোচনা নেই তার। সেসর জানান, ‘নিজেকে আবেদনময়ী অনুভব করার জন্য আমার পায়ের দরকার নেই। আমি সবাইকে দেখাতে ভালোবাসি যে সৌন্দর্য কেমন হতে পারে।’ আমি এটা করে টাকা কামাতেও ভালোবাসি, যোগ করেন তিনি।
১৫ বছর বয়সে, মডেলিংয়ের শুরুর দিকে তিনি বেশ কিছু স্পোর্টস ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। পরে তিনি অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপনকেই আদর্শ হিসেবে বেছে নেন।
ছোটোবেলা থেকে হুইল চেয়ারের বদলে স্কেটবোর্ডকেই আপন করে নেন তিনি। আর এখন তিনি স্কেটিংয়ে প্যারাঅলিম্পিকেও অংশ নিতে চান।
ভক্তরা জানেন, সেসর দমতে শেখেনি। প্যারাঅলিম্পিকে তিনি অংশ নেবেনই। আমরাও তবে অপেক্ষা করি তার দ্যুতি দেখার। সূত্র : ডেইলি মেইল
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন