পা দিয়ে লিখে ডাক্তার হতে চায় বেল্লাল
শারীরিক অক্ষমতা হার মানাতে পারেনি কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের উমিদপুর গ্রামের বেল্লালের শিক্ষা জীবনকে। জন্ম থেকে শারীরিকভাবে অক্ষম ছিল মো. বেল্লাল আকন (১৩)। দুটি হাত না থাকায় স্বাভাবিকভাবে লেখাপড়ার থেকে পিছিয়ে পড়া বা না করার কথা ছিল তার।
কিন্তু বেল্লালের আদম্য ইচ্ছা শক্তি তার লেখাপাড়াকে নিয়ে গেছে সকল সক্ষম শিক্ষার্থীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের দিকে। সৃষ্টিকর্তা জন্ম থেকে দুটি হাত নাদিলেও পা দিয়ে লিখে সে পিএসসি পাশ করে ৩.৭৫ নিয়ে। পায়ের লেখাও অন্য শিক্ষার্থীর হাতের লেখার চেয়ে ভাল। উমিদপুর দাখিল মাদ্রাসার অষ্ঠম শ্রেনির ৭৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বেল্লালের রোল ৬। এবছর জেডিসি পরিক্ষায় পিএসসি পরিক্ষার চেয়ে ভাল ফল করতে চায় বেল্লাল।
উমিদপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. মো. হাবিবুল্লাহ জানান, বেল্লাল বেশির ভাগ সময় শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য থাকে, অসুস্থ্যতার কারনে মাদ্রাসায় তেমন আসতে পারেনা। অনেক ছেলে-মেয়ের তুলনায় লেখাপড়ায় ভাল।
পিতা খলিলুর রহমান জানান, দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বেল্লাল ছোট। ছেলের শারীরিক অসুস্থ্যতা তাকে পিড়াঁ দেয় কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, আল্লাহ ওকে এভাবে পাঠিয়েছে এতে তার কোন দু:খ নাই। গরিব কৃষক হওয়ায় ওর খরচ চালাতে খুব কষ্ট হয়। লেখাপড়া করে কি হতে চায় জিজ্ঞাসা করলে বেল্লাল জানায়, ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
চা কন্যা খায়রুন ইতিহাস গড়লেন
চা শ্রমিকদের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে সব মহলেই পরিচিত হবিগঞ্জেরবিস্তারিত পড়ুন
চার্জ গঠন বাতিল চেয়ে রিট করবেন ড. ইউনূস
শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.বিস্তারিত পড়ুন
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন