পিস্তলের লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করবে ডিবি: সাংসদপুত্রের
সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনির পিস্তলের লাইসেন্স বাতিল করার আবেদন করবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই পিস্তলের গুলিতে অটোরিকশাচালক ও রিকশাচালক নিহত হওয়ার পর ৪ জুন পুলিশ পিস্তলটি জব্দ করে। পরীক্ষার জন্য এটি সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে বখতিয়ারের জামিন আবেদন গতকাল নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, পিস্তলের ব্যালাস্টিক প্রতিবেদন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঠিকানা যাচাই প্রতিবেদন পাওয়ার পর লাইসেন্স বাতিলের আবেদন করা হবে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বখতিয়ারের লাইসেন্স করা কালো-সিলভার রঙের বিদেশি পিস্তলের গুলিতে জোড়া খুন হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হতে পিস্তলটি পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া অস্ত্রের লাইসেন্সের ঠিকানা জানতে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জামিন আবেদন নাকচ: ঢাকা মহানগর হাকিম আমিনুল হক গতকাল শুনানি শেষে বখতিয়ারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বখতিয়ার আলমের আইনজীবী শওকত ওসমান আদালতকে বলেন, আসামির নাম এজাহারে নেই। তাঁকে অহেতুক হয়রানির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার দিন বখতিয়ার আলম তাঁর সন্তান ও মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। ওই দিন তিনি রাস্তায় বের হননি। এ ছাড়া যে হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা পরিকল্পিত ছিল না। আসামি গুরুতর অসুস্থ, তাঁর মা একজন সাংসদ; তাই জামিন দিলে তাঁর পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে বখতিয়ার আলমের পক্ষে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে আদালতকে বলেন, এই মামলার আসামি ইমরান ফকির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বখতিয়ারের নাম বলেছেন। জব্দ হওয়া প্রাডো গাড়ি থেকে বখতিয়ার গুলি ছোড়েন। সেই গুলিতে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও জনকণ্ঠ-এর অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর ব্যবহৃত পিস্তল ও গুলি জব্দ করা হয়েছে। তাই জামিন দিলে তদন্তে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে। এরপর শুনানি শেষে আদালত বখতিয়ার আলমের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
বখতিয়ারের মা সরকারি দলের সাংসদ পিনু খান গত সোমবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। সেখানে তিনি এক কর্মকর্তার দপ্তরে বসে পৌনে এক ঘণ্টা কথা বলেন। বখতিয়ার কারা হাসপাতালে আছেন। একজন কারা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বখতিয়ার সুস্থ আছেন। চিকিৎসক তাঁর শরীরে কোনো রোগ পাননি।
গত ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে গাড়ি থেকে গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। হাকিম ১৫ এপ্রিল ও ইয়াকুব আলী ২৩ এপ্রিল মারা যান। ডিবি পুলিশ তদন্তে হত্যার ঘটনায় বখতিয়ার ও তাঁর গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে শনাক্ত করে। বখতিয়ার ও তাঁর গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয় গত ৩১ মে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন
ঢাবি বন্ধের সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে ধন্যবাদ জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হল ছেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরবিস্তারিত পড়ুন
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২৩
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগ, শিক্ষার্থী, মহিলা আওয়ামী লীগবিস্তারিত পড়ুন