পুরনো রুপে ঢাকা!

কর্মব্যস্ত নগর জীবন শুরুর সাথে সাথেই পুরনো রুপে ফিরে গেল রাজধানী ঢাকা। চিরায়ত যানজটের বুক চিরে ঈদের ছুটি শেষে আনন্দ স্নান করছেন নগরবাসী। এরই মধ্যে সপ্তাহ দুই পেরিয়ে ঈদ আনন্দ এখন কিছুটা পুরনো রুপে ব্যস্ত মানুষগুলির কাছে।
সেই সাথে সেই চিরচেনা ঢাকাও ফিরেছে তার আপন রুপে। যেখানে রয়েছে- কর্মব্যস্ততা, নানা ঘটনা-অঘটনার পটিয়সী, রয়েছে ভোগান্তি নামক যাঁতাকলের পৃষ্টতাও।
আজ গুনে গুনে ঈদ সমাপ্তির দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে খুলে ফেলেছে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। ছুটির আমেজ ঝেড়ে ফেলে আট ঘাট বেধে কাজে নেমে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। স্কুল, কলেজ, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পাড়াতেও একই অবস্থার বিরাজ। প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর।
তবে প্রতিবারই ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দটা একটু ভিন্ন হয়। সবার পরেই ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফেরেন তারা। এবার এরই মধ্যে তারাও মজেছেন লেনদেনের হিসেব খাতা নিয়ে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই নগরীর রাস্তাঘাট ফিরে পেয়েছে অতীত রুপ। যানবাহনের ছুটেচলা ও তীব্র চাপ সবকিছুই এখন ‘ব্যস্ত ঢাকা’র প্রতিচ্ছবি। রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক পয়েন্ট, শাহবাগ, ফার্মগেইট, গুলশান, মিরপুর, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী ও গুলিস্তান এলাকায় প্রতিদিনই থাকছে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ। যা বেশ কয়েকদিন আগেও ছিল অনুপস্থিত।
অপরদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি অতীত ইতিহাসকেও ছাড়িয়ে গেছে। সর্বোচ্চ এই সরকারি ছুটি কাটিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মকর্তারা। উচ্চ আদালতে বিচারিক কার্যক্রমও সম্পূর্ণ রুপে চলমান।
রাজধানীর একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন এ বি এম এহসান উল্লাহ। দীর্ঘ ছুটি শেষে কর্মব্যস্ত জীবনের বাস্তবতা নিয়ে সাথে কথা হয় তার। নগরীর নিত্য কর্মচাঞ্চল্যের পূনরাবৃত্তি নিয়ে তিনি বলেন, “কাজের মধ্যে ছুটি একটু নতুন আমেজ তৈরি করে। আর ঈদের ছুটির সঙ্গে তো কোন কিছুর তুলনাই হয় না। এটা অসাধারণ। তবে এই বাস্তবতাটাকেও আমাদের মেনে নিতে হবে।”
এদিকে নগর কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে রাজধানী ঢাকায় দুই লাখেরও অধিক মানুষের বসবাস। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশই কর্মজীবী। প্রতি বছর এর সংখ্যা আনুপাতিক হারে বাড়ছে বলেও জানা যায়। তবে অপরিকল্পিত নগরায়নকেই দিন দিন ঢাকা বাসের অযোগ্যতার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন নগর বিশ্লেষকরা।
নগরীর বর্তমান ও আগামীর রুপ নিয়ে জানতে চাইলে নগর বিশেষজ্ঞ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “দেখেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীর যেই পরিবেশ বিরাজ করে এটিই যেন তার কাংক্ষিত। বিশ্বে অনেক দেশ আছে অতিরিক্ত জনচাপ শক্তিতে রুপান্তরিত করেছে পরিকল্পিত পরিকল্পনার মাধ্যমে। আমাদের জন্যও নতুন করে বাস্তবায়ন যোগ্য নগর পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।” এক্ষেত্রে ‘বিকেন্দ্রীকরণ ‘ থিউরি কেও কাজে লাগানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ধানমন্ডি ৩২-এ প্রদীপ প্রজ্বলন, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর ওপর হামলা
আমাদের কন্ঠস্বর: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের হত্যারবিস্তারিত পড়ুন

ঢাকায় এক দিনে ৪ জনকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানী ঢাকায় এক দিনে চারজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিস্তারিত পড়ুন

রাজধানীতে আনসার ব্যাটালিয়ন মোতায়েন
ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৬ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েনবিস্তারিত পড়ুন