পুরুলিয়া ভ্রমণে মিলবে সাঁওতাল রমণীর যৌবন!
শিরোনামটা দেখে খটকা লাগছে? কিন্তু অফারটা এভাবেই দিয়েছে একটি পর্যটন সংস্থা। কলকাতার একটি নামকরা দৈনিকে ছাপা হয়েছে বিজ্ঞাপনটি। যেখানে বলা হচ্ছে পুরুলিয়ায় বেড়াতে আসুন, পাবেন সাঁওতাল রমণীর উদ্দাম যৌবনের ছোঁয়া। বিজ্ঞাপনটি নিয়ে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।
পুরুলিয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত জেলা। বিজ্ঞাপনদাতা পুরুলিয়ার একটি পর্যটন সংস্থা। বিজ্ঞাপনের ভাষা এরকম, “শীতে পুরুলিয়া আসুন, চার রাত্রি পাঁচদিনের প্যাকেজ- সত্যজিৎ রায়ের জয়চণ্ডী পাহাড়, গড় পঞ্চকোট রাজবাড়ির গা ছমছমে ইতিহাস ঘেরা অলিন্দ, অযোধ্যা পাহাড়ে জলপ্রপাত-জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বড়ন্তির সূর্যাস্ত, সঙ্গে ছৌ-নাচ এবং সাঁওতাল রমণীর উদ্দাম যৌবনের ছোঁয়া…”
খরচ কত তার হিসেব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেয়া হয়েছে বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থার নাম ও ফোন নম্বর। বিতর্ক শুরু হয়েছে এই বিজ্ঞাপনকে ঘিরেই। রাজ্য সরকার যেখানে রাজ্যের পর্যটনকে বিশ্বমানের করে তুলতে চাইছে, সেখানে পুরুলিয়ায় বেড়াতে গেলে সাঁওতাল রমণীকে উপভোগ করার অফার দেওয়া হচ্ছে ! তাও প্রকাশ্যে-বিজ্ঞাপনে !
এ ধরণের বিজ্ঞাপন কেন? এ ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হয় বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থার সঙ্গে। এ ব্যাপারে অবশ্য ব্যাখ্যার পাশাপাশি ক্ষমাও চেয়েছে ওই পর্যটন সংস্থাটি। সুমিত বিশ্বাস নামে সংস্থার একজন বলেন, বিজ্ঞাপনটি নিয়ে একটা বিভ্রান্তি হয়েছে। অনেকে আপত্তি জানাচ্ছেন। প্যাকেজ টুরে আমরা ক্যাম্প ফায়ারের মাধ্যমে যে সাঁওতাল নৃত্য দেখাই – আসলে সেটার কথাই বলা হয়েছিল। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে।
সুমিত বলেন, পর্যটক টানতে এবং যাতে চটজলদি বুকিং পাওয়া যায়, তার জন্য লেখাটা লেখা হয়েছিল। ভুল হয়ে গেছে। লেখাটা সংশোধন করে দেব আমরা।
তবে, সংস্থার পক্ষ থেকে ভুল স্বীকার করা হলেও, বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না বিদ্বজনরা। রাজ্য নারী কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় বিষয়টি শুনে বলেছেন, এটা ভয়ঙ্কর কথা। খুব খারাপভাবে নিচ্ছি। আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন