পুলিশ বাপ কিছু করতে পারবে না, তাদের পিছনে খরচা আছে’
ঘড়ির কাঁটা ঠিক বিকেল ৪টার ঘরে। অ্যাসাইনমেন্টের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে রিকসা করে সংসদের দিকে যাচ্ছি। হঠাৎ শুনলাম চিৎকারের শব্দ। ঘুরেই দেখি চার জন হিজড়া এক যুবককে রিকসা থেকে টেনে-হিচড়ে নামাচ্ছে আর বলছে, ছেলেটি নাকি তাদের কাপড় খুলতে বলেছে এবং কু-প্রস্তাব দিয়েছে। ঘটনাটি দেখে আমি কাছে গেলাম বিষয়টি জানার জন্য। সাংবাদিকতা করার কারণেই হয়তো বিষটি জানান কৌতুহল জেগেছে।
কাছে গিয়ে হিজড়াদের আচার-আচরণ দেখে আমার সন্দেহ হয়। তারা কি করণে ছেলেটিকে লাঞ্চিত করছে? জানতে চাইলে, উত্তরে তারা পাল্টা প্রশ্ন করলেন, আপনি কে? অমাদের কাজ আমাদের করতে দেন।আপনি যে কাজে যাচ্ছেন সে কাজে যান। ঝামেলা করবেন না। কাছেই থাকা এক পুলিশকে সাংবাদ কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বলি হিজড়ারা এ রকম কাজ করছে আপনি কিছু বলছেন না? উত্তরে পুলিশ বলেন আমরা কি বলব? আপনারা পত্রিকায় লিখে দিন এদের বিরুদ্ধে।
পুলিশের সাথে কথা শেষ করে এগিয়ে যেতেই হিজড়ারা আমাকে বলল, ‘কিরে তর পুলিশ বাপ কিছু করতে পারল, কিছুই করতে পারবে না। প্রতিদিন পুলিশের পিছনে আমাদের খরচ আছে।’
পরে লাঞ্চিত ঐ ছেলেটির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাসা কাজীপাড়া, ফার্মগেটে আমার অফিস। গাড়ি না পেলে অনেক সময় রিকসায় যেতে হয়। এই পথে বেশ কয়েক দিন আমাকে হিজড়ারা আটকিয়ে টাকা নিয়েছে। আমি প্রতিদিন কি তাদের টাকা দিব, আপনিই বলেন? আজকে দিতে চাইনি তাই আমাকে লাঞ্চিত করেছে। এখন দেখছি এই পথে আর চলাচল করতে পারব না।
রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকানদার জহির বলেন, এখানকার হিজড়ারা সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে। কোন পথচারী চাঁদা না দিলে জনসমুখে পথচারীকে লাঞ্চিত করা হয়। অনেক সময় পথচারীর কাপড়ও খুলে নেয় হিজড়ারা।
এ চিত্র শুধু সংসদ ভবন এলাকায় নয়। সারাদেশের সাধারণ মানুষ হিজড়াদের চাঁদাবাজির কারণে অতিষ্ঠ। আর হিজড়াদের সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এদের হাতে হচ্ছেন লাঞ্চিত হয়।
এ বিষয়ে দিনের আলো হিজড়া উন্নয়ন মহিলা সংস্থার সভাপতি মায়া খান, বলেন, প্রকৃত হিজড়ারা কখনও জোর করে টাকা নিবে না। আমরা কোথও কাজ পাইনা তাই চেয়ে খাই, কিন্তু জোর করে টাকা উঠাই না এবং কাউকে লাঞ্চিতও করিনা।
তিনি বলেন, যারা অসৎ উদ্দেশ্যে আসল পরিচয় গোপন করে হিজড়া সেজে বিভিন্নভাবে চাঁদাবাজি করছে, তারাই এসব কাজ করে। তারা হিজড়া পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে অর্থনৈতিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানি, ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক সাধ্যের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা আদায় করছে তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
পৃথিবীর সব প্রাণী ধ্বংস হবে কবে, জানালেন বিজ্ঞানীরা
পৃথিবীতে কোনো প্রাণী বা প্রজাতিই স্থায়ী নয়। একদিন না একদিনবিস্তারিত পড়ুন
এটিএম থেকে টাকার পরিবর্তে কী বের হচ্ছে?
এটিএম বুথের মেশিন থেকে টাকাই তো বের হওয়ার কথা। কিন্তুবিস্তারিত পড়ুন
৩৩ বছরে ছুটি নিয়েছেন মাত্র একদিন
১৯৪০-এ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নার্সিংয়ে হাতেখড়ি। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ, ২৪ বার প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন