পেনশনের অর্ধেক পরিবারের জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক হচ্ছে
সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের ৫০ শতাংশ পরিবারের জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ফলে অবসরে যাওয়ার সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পেনশন অর্ধেকের বেশি সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারবেন না। এ সংক্রান্ত একটি বিধান শিগগিরই প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
সূত্র জানায়, অনেক সরকারি চাকরিজীবী অবসরের পর একসঙ্গে সব টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু পরে তারা আর্থিক সমস্যায় ভোগেন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পেনশন তোলার নিয়ম করা হচ্ছে। শিগগিরই একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ঘোষণা দেয়া হবে।
এছাড়া বেসরকারি খাতকে কীভাবে পেনশনের আওতায় আনা যায় সে বিষয়েও কাজ শুরু করা হবে। এ জন্য আইন-কানুন লাগবে। সব মিলিয়ে সময় লাগবে প্রায় দুই বছর।
জানা গেছে, তিনটি প্রধান কারণ বিবেচনা করে পেনশন সংক্রান্ত বর্তমান বিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এগুলো হচ্ছে- পেনশনভোগীর পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করা, সরকারের ওপর আর্থিক চাপ হ্রাস ও পেনশনের অর্থ বিনিয়োগ করা।
সূত্র জানায়, নতুন বিধান কার্যকর হওয়ার পরও পুরনো পেনশনভোগীরা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত আগের পদ্ধতিতেই সুবিধা ভোগ করবেন। তবে পুরনোদের মধ্যে যারা শতভাগ পেনশন উত্তোলন করেননি, সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় শেষে তাদের পেনশন নতুন বিধানের সঙ্গে সমন্বয় হবে।
বিদ্যমান অষ্টম বেতন স্কেল অনুযায়ী পেনশনের হার ৮০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ এবং অবসরভোগীদের সর্বনিন্ম পেনশনের হার তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া চাকরির বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হলেই একজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা তার পরিবার পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে।
এছাড়া কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরির বয়স পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই স্বাস্থ্যগত কারণে অক্ষম বা মৃত্যু হলেও প্রতি বছর বা তার অংশবিশেষের জন্য সংশ্লিষ্ট চাকরিজীবীর সর্বশেষ প্রাপ্য বেতনের তিনটি মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থসহায়তা হিসেবে তার পরিবার পাবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, যাদের জন্য পেনশন সুবিধা রয়েছে। আর বর্তমান অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ৪ লাখ ৫৫ হাজার। তাদের পেনশন অ্যান্ড গ্র্যাচুইটি খাতে চলতি অর্থবছর (২০১৬-১৭) ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছর (২০১৫-১৬) এই ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এটি ছিল ৭ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন